সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয়জনের শরীরে মারণ ক্যানসার দানা বাঁধলে চিকিৎসার পাশাপাশি যেটা প্রয়োজন তা হল মনোবল বাড়ানো। এক্ষেত্রে রোগীদের কখনই এমন কিছু বলা উচিত নয়, যাতে তিনি একাকী অনুভব করেন। খুব সতর্ক হয়ে, ভাবনাচিন্তা করেই এক্ষেত্রে কথা বলা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে মুখোমুখি হওয়া উচিৎ ক্যানসার আক্রান্ত প্রিয়জনের।
১. তিনি অসুস্থ, তাই তার কী প্রয়োজন, তা আগেভাগে অনুমান করে ফেলবেন না। ন্যাশনাল ক্যানাসার ইনস্টিটিউটের কথা অনুযায়ী, কেমো চলাকালীন একেকজনের একেকরকম ইচ্ছে হয়। তাই জিজ্ঞেস করুন, রোগী কী চাইছেন।
২. চিকিৎসা চলাকালীন ক্যানসার রোগীকে নানারকম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই তাঁকে “কেমন আছো?” প্রশ্ন করাটা অর্থহীন। বরং জিজ্ঞেস করতে পারেন, “এখন তোমার কেমন লাগছে?” আশ্বস্ত করতে বলতে পারেন, “কী বলা উচিৎ জানি না, তবে আমি তোমার পাশেই আছি।” এই ভরসাটুকুই মুমুর্ষরোগীকে খানিকটা চাঙ্গা করার ক্ষমতা রাখে।
৩. আশ্বাস জোগাতে বলবেন না যে, “যে কোনও প্রয়োজনে আছি।” এটা অনেকটা দূরে বসে কাছে থাকার প্রতিশ্রুতির মতো। বরং এমন কিছু বলুন যা তাঁকে অনুভব করাবে যে আপনি পাশে থাকতেই চান। যেমন ডিনারের প্ল্যান করতে পারেন। বা রোগীর কোনও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারেন।
৪. ধরুন একসঙ্গে বসে কফিতে চুমুক দিচ্ছেন, সেই সময় ভুলেও রোগের প্রসঙ্গ তুলবেন না। বরং অন্য কিছু নিয়ে কথা বলুন। পুরনো দিনের স্মৃতি আরও একবার তাজা করে তুলুন।
৫. ক্যানসার আক্রান্তরা একটু কেয়ার চান। এমন কাউকে পাশে পেতে চান, যিনি তার কথা শুনবে। কিছু না বললেই সবটা বুঝে যাবে। তাই চেষ্টা করুন এমন ভরসাস্থল হয়ে ওঠার।
তবে রোগী সেরে উঠলেই যে সাপোর্টের প্রয়োজন নেই, তেমনটা নয়। চিকিৎসা শেষ ও রিকভারির পরও শারীরিক ও মানসিক কিছু সমস্যা থাকেই। তাই রোগীরা মনোযোগ চান। একটা ছোট্ট মেসেজ, একটা ফোন, গুরুত্বপূর্ণদিনগুলোকে বিশেষভাবে পালন করলে তা মন ভালো করে দেয়। চেষ্টা করুন এভাবেই ক্যানসার আক্রান্ত প্রিয়জনের পাশে থাকতে, যাতে হাসিমুখে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে ফিরতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.