Advertisement
Advertisement

রাস্তার নেড়ি-হুলোদের খাওয়াচ্ছেন? সাবধান, ভাইরাস ছড়াতে পারে আপনার শরীরেও

পোষ্যকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ফেরার পর পরিষ্কার করে রাখুন।

Are you feeding street dogs during lockdown?Be aware of touching
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 30, 2020 9:55 pm
  • Updated:March 30, 2020 9:55 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় পথের কুকুর, বিড়ালের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। তাই তাদের জন্য সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন একাধিক পশুপ্রেমী। সেলিব্রিটি থেকে প্রাণী কল্যাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকা অনেকেরই আবেদন ছিল, এই সময়ে যেন সামান্য কিছু হলেও ওদের মুখে তুলে দেওয়া হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই রাস্তার নেড়ি, হুলোদের খাওয়াতে ছুটেছেন। কিন্তু জানেন কি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আপনি নিজে যতটা সাবধানে থাকছেন, ওদের সংস্পর্শ থেকেও ততটাই সাবধান হওয়া উচিত? কারণ, ওরাও নানাভাবে ভাইরাসের বাহক হতে পারে। এ বিষয়েই একটি প্রশ্নোত্তরের মধ্যে দিয়ে জনতাকে সতর্ক করল এক আন্তর্জাতিক প্রাণী কল্যাণ সংস্থা।

Advertisement

Animals-Corona

একথা ঠিক যে কোনও পোষ্য বা চারপেয়ে থেকে সরাসরি COVID-19 জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে না। কারণ, তাদের শরীরে করোনার অন্যান্য ভাইরাস সক্রিয়, যা মানুষের ক্ষতি করে না। কিন্তু ঘুরপথে করতেই পারে। ধরুন, করোনা পজিটিভ এমন কেউ রাস্তার কুকুর বা বিড়ালকে খাওয়ালেন, আদরও করলেন। তার শরীরের কোনও লোম আপনার হাতে থেকে গেল। আপনি হয়ত করোনা পজিটিভ। এবার সেই কুকুর বা বিড়ালকে যিনি করোনা আক্রান্ত নন, তিনিও এভাবেই খাওয়ালেন এবং গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। তাহলে আপনার থেকে তাঁর শরীরে ভাইরাস ছড়াতেই পারে এই রাস্তার প্রাণীদের মারফত। সে অর্থে, যে কোনও প্রাণীই নোভেল করোনা ভাইরাসের বাহক। তাই তাদের থেকেও সাবধানে থাকা প্রয়োজন।

[আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যেই ‘মুক্তি’ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিকোচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে]

এবার আসা যাক পোষ্যদের কথায়। এমনিতে বাড়ির কেউ করোনা পজিটিভ না হলে, তাদের কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু আপনি যখন ওদের নিয়ে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন ঘুরে আসার পর আপনি যেভাবে স্নান করে পরিচ্ছন্ন হচ্ছেন, সেভাবে ওদেরও পরিষ্কার করান। স্নান না করাতে পারলেও, থাবাগুলো অন্তত পরিষ্কার করিয়ে দিন। থাবায় অনেক নোংরা থাকতে পারে, যা থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া জিভও পরিষ্কার রাখতে হবে। এই লকডাউনের সময়ে যেমন জরুরি পরিষেবা হিসেবে হাসপাতাল খোলা, তেমনই পশু হাসপাতালও খোলা। তাই চাইলেই পোষ্যকে নিয়ে যেতে পারেন পশু হাসপাতালে। চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে, ওষুধ-ইঞ্জেকশন সবই পাবেন। এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এমনই বলছেন আন্তর্জাতিক প্রাণী কল্যাণ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং, চারপেয়েদের যত্ন নিন, ভালবাসুন। কিন্তু সাবধানে। ওদের এবং আপনার – উভয়ের জীবনই মূল্যবান।

[আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচার নয়া দাওয়াই, বাজারে এল ভাইরাস প্রতিরোধক ম্যাট্রেস!]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ