সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকলের জীবনেরই প্রথম বন্ধু, প্রথম শিক্ষক মা। সন্তানের আচরণ, চিন্তাভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের উপর। কারণ, মাকে দেখেই সন্তানরা শেখে। কিন্তু জানেন কি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে রসায়নও নির্ভর করে মায়ের উপরেই? ভাবছেন তো কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. যদি শৈশবে ভালোবাসা পাওয়াটা শর্তসাপেক্ষ হয়, সেক্ষেত্রে ধারণা তৈরি হয় যে ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। ভালোবাসা অর্জন করতে সেক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছে, পছন্দ দমন করার প্রবণতা তৈরি হয়। ভালোবাসাটা একটা কাজ হয়ে ওঠে, আশ্রয় নয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা কখনই কাম্য নয়।
২. মা যদি আত্মপ্রকাশ, অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দৃঢ় হন সেক্ষেত্রে সন্তানরা ছোট থেকেই একটা দোটানা নিয়ে বেড়ে ওঠেন। অনেকক্ষেত্রেই নিজেদের ইচ্ছেটা প্রকাশই করতে পারেন না। কারণ, অনুমোদন মিলবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে তাঁদের। যদি মায়েরা যৌনতাকে লজ্জাজনক মনে করেন তবে তাঁদের মেয়েরা কামুকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ছেলেদের মধ্যে কাজ করে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব।
৩. মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক যদি তিক্ত হয়, তাহলে তাঁদের পক্ষে সঙ্গীর কাছেও নিজেকে নিরাপদ মনে করা সম্ভব হয় না। প্রেমে জড়ালেও একটা উঁচু পাঁচিল থাকে সম্পর্কে। যা কখনই কাম্য নয়। এতে দূরত্ব তৈরি হয় একটা পর্যায়ের পর।
৪. পরিবার মানেই মায়ার বাঁধন। কিন্তু সব পরিবারের রয়াসন এক নয়। সকলের বাবা-মায়ের সম্পর্ক এক নয়। ছোটোবেলায় মায়ের সঙ্গে বাবার সম্পর্কের সমীকরণের প্রভাব পড়ে সন্তানের সম্পর্কে। স্বামী-স্ত্রীর রসায়ন কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়।
৫. মা যদি সংসারের নীতি নির্ধারক হন সেক্ষেত্রে সন্তানের সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথম মাথায় থাকে যে, মায়ের পছন্দ হবে তো? মা আদৌ মেনে নেবেন কি না, একথা ভেবেও অনেকেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
তবে হ্যাঁ, মায়েরাই শিক্ষক হিসেবে আদর্শ। ব্যতিক্রম তো থাকবেই, কিন্তু মায়েদের হাত ধরেই সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে শেখেন সকলে। তাই কিছু ভুলভ্রান্তি থাকলে সেটাকে আকড়ে ধরে নিজেকে শেষ না করে বরং তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তাতেই সুন্দর হবে সম্পর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.