Advertisement
Advertisement

উৎসবের মরশুমে বাড়ির মেকওভার চান? ঘর সাজান আলোয় আলোয়

নিত্য নতুন মোড়কে রাখুন আলো , মন ভাল হবেই।

Light up your home with these trendy lighting fixtures
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 21, 2018 9:46 pm
  • Updated:October 21, 2018 9:46 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  উৎসবের মরশুম চলছে। তাই নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ঘর গেরস্থালিরও গোছগাছ দরকার। বাড়িতে নতুন রং করিয়েছেন। দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে মেঝেতেও বসেছে নতুন টাইলস। পর্দার রঙেও নতুনত্বের ছোঁয়া। বেছে বেছে দামী ইনটিরিয়র ডিজাইনারকে দিয়ে ঘর সাজিয়ে ফেলেছেন। সেজন্য পুরনো আসবাব বদলে হাল ফ্যাশনের অনেককিছুই ঘরে জায়গা করে নিয়েছে। বেশ তো পরিপাটি সাজগোজ চলছিল, আর আলোর বিষয়টিই ভুলে গেলেন? আরে আলোই তো মনকে ভাল রাখে। না হয় একটু ভিন্ন ধরনের আলোতে সাজালেন শখের ড্রয়িংরুম বা ব্যালকনি। মন তো ভাল হবেই। অতিথিও আপনার ঘর সাজানোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন। একথা হলফ করে বলা যায়। আরে মশাই ভুল বুঝবেন না, শুধু অন্ধাকার দূর করতেই নয়, গৃহসজ্জায় আলো কিন্তু অপরিহার্য অঙ্গ। কীভাবে?  চলুন দেখে নিই।

Advertisement

নতুন বাড়ি কিনেছেন রিনি। সেই কতদিনের সাধ। টিউশনের মাস্টার মশাইয়ের বাড়ির ঠাকুরদালানে থাকা ঝাড়বাতি এখনও তাঁকে টানে। তাই বাবার পুলিশ কোয়ার্টারের গণ্ডি ছাড়তে পেরে খুশি হয়েই খোলামেলা ফ্ল্যাটটি কিনে ফেললেন। এবার পছন্দসই একটি ঝাড়বাতি পেলেই হল। বাবা তো বলেছেন, ওসব বাড়িতেই মানায়। ফ্ল্যাটে বিলাসিতা। কিন্তু রিনির ডিজাইনার বন্ধুর মতে ঝাড়বাতির প্রকারভেদ রয়েছে। ঘরের আয়তন, অবস্থান দেখে ট্রেন্ডি লুকের ঝাড়বাতি কিনে ড্রয়িংরুমের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দিন। অতিথির নজর পড়বেই।

[কলার খোসা ফেলে দিচ্ছেন? ব্যবহারিক গুণ জানলে অবাক হবেন আপনি]

স্টাডির সঙ্গেই লাগোয়া ব্যালকনি। সন্ধ্যার পরে বাবা-বসে গল্প করেন। স্টাডির আলোর ঝলকানিতে তাঁদের অসুবিধা হয়। তাই রিডিং টেবিলের কোল ঘেঁষে একটা ফ্লোর লাইট কিনেছেন রিনি। দেখতে অনেকটা টিউলিপ ফুলের মতো। যেন দুই বন্ধু মনের সুখে স্মৃতিচারণা করছে। সন্ধ্যায় মা সেই ফ্লোর লাইট জ্বালিয়ে দিলেই রিনির মন ভাল হয়ে যায়। সারাদিনের ক্লান্তি ঝেরে ফেলে পড়ার টেবিল টানতে থাকে।

আবাসনের নিচেই নিজের চেম্বার করেছেন রিনি। সেখানের ক্লায়েন্টদের বসার জন্য নতুন ঘরও তৈরি হয়েছে। ক্রিমরঙা সোফাসেটের পিছনে দারুণ ওয়াল পেপার ঝুলিয়েছেন। সেই ওয়াল পেপারের ভিতর থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে। অভিনব ওয়াল লাইট লাগিয়ে ক্লায়েন্টদের চমক দিয়েছেন রিনি। তাই উৎসবের মরশুমেও রিনির চেম্বারে ভিড় লেগেই আছে।

রিনির মতো আলোর ব্যতিক্রমী সাজে আগ্রহ থাকলে ডাইনিংস্পেসে একটি ফ্যান লাইট লাগিয়ে নিন। ফ্যানের ব্লেডের সঙ্গেই আলোর মেলবন্ধন থাকবে। ফ্যান চলার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলবে আলো। তবে তা ভাইব্রেট হবে না। এক আলোআঁধারি পরিবেশ ডিনার ডেবিলের আড্ডাকে জমিয়ে দেবে।

শিশুদের জীবনেও রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন আছে। সারাদিন পড়াশোনার ইঁদুর দৌড় শেষে যখন ক্লান্ত হয়ে খুদেরা বিছানায় যায়, তখন তাদের গল্প শোনানোর কেউই থাকে না। এক আকাশ তারকারাজি নাহয় তাদের গল্প শোনাক। কিন্তু কীভাবে? সেখানেও চমক। পরিবারের ছোটদের জন্য থাকা ঘরের সিলিংয়ে স্কাইলাইটে বন্দোবস্ত করুন। কাচটি এমন হবে যাতে দিনের প্রখর তাপও মনোরম অনুভূতি আনে। আর সন্ধ্যা নামলেই শুকতার, ধ্রুবতারা, কালপুরুষ সব সাজিয়ে আকাশ হাতছানিতে খুদেরাও মহাখুশি হবে।

ব্যালকনিতে একলা বিকেল কনে দেখা আলো দিলেও রাতের অন্ধকার কিন্তু শহরের আলোকেই বেশি সুযোগ দেয়। ম্যানিপ্লান্টের ঝাড়ের পাশে যেখানে বেতের ইজি চেয়ার রেখেছন তার অদূরের সিলিংয়ে থাকুক ঝুলন্ত আলো। গোল চাকতির মধ্যে থেকে সেই আলো কখনও ফিকে নীল বা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার আলো ছড়াবে। কফি মগ নিয়ে চেয়ারে গা এলিয়ে দিন। ক্লান্তি পালাবে চোখের নিমেষে।

বেডরুমে এলেই নিজেকে কেমন রাজা মনে হয়। দিনের শেষে টানতে থাকে বিছানা। এখানে আলো হোক মৃদু। একটু সেকেলে আঙ্গিক বজায় রেখে টেবিল ল্যাম্প রাখুন মাথার পাশেই। ঘিয়া রঙা ল্যাম্প থেকে আসা আলোয় ঘুমচোখ অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

আয়না আলোকে আরও মোহময়ী করে তোলে। ড্রেসিংরুম বা বাথরুম আকর্ষণীয় আয়না থাকলে তাতে জড়িয়ে দিন আলোর মালা। ঘরের সৌন্দর্যই বেড়ে যাবে। কী উৎসবের মরশুমে বাড়ির মেকওভার চাই? তাহলে চটপট বেছে বেছে নিন পছন্দের আলো।

[পুজোময় হয়ে উঠুক ঘরের সাজ, আনুন নতুন চমক]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ