সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের আবেগের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই তাদের রাগ, দুঃখ, অভিমানের প্রকাশ বেশি। শিশুর কান্নাকাটি, বায়না নতুন নয়। তা কি জেদের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে? দাবি না মিটলেই রাস্তাঘাটে চিৎকার, চেঁচামেচি করছে? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে সাবধান হোন। খুদেকে সামলান। নইলে একগুঁয়ে জেদ একদিন আপনার শিশুরই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ছোট বলে তাকে মারধর করবেন না। পরিবর্তে সহজ কয়েকটি কৌশলে তাকে সাবধান করুন।
* খেয়াল রাখুন খুদে ইচ্ছাকৃতভাবে চিৎকার, চেঁচামেচি, কান্নাকাটি করছে কিনা। যদি সে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করে তবে তাতে গুরুত্ব দেবেন না। তাকে এড়িয়ে যান। গুরুত্ব না পেলে দেখবেন নিজেই কান্নাকাটি থামিয়ে দিয়েছে।
* শিশুরা সাধারণত বায়না করেই থাকে। তা সে চকোলেটের জন্য হতে পারে কিংবা খেলনা। সন্তানের আবদার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জানেন আপনি। তাই তাকে এমন কোনও জায়গায় নিয়ে যাবেন না, যা দেখে সে বায়না করতে পারে।
* ধরুন রাস্তাঘাট কিংবা পরিবারের অন্যান্যদের মাঝে সে বায়না করছে। চিৎকার, চেঁচামেচি করছে। তাকে কান্না থামাতে জোর করবেন না। মনে রাখবেন, সেই সময় শিশু উত্তেজিত। তাই আপনি যত তাকে থামাতে যাবেন, সে ততই চিৎকার, কান্নাকাটি করবে। তার চেয়ে তাকে একলা থাকতে দিন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন নিজেই শান্ত হয়ে যাবে।
* মনে রাখবেন, রোজ পেতে পেতে জেদ তৈরি হয়। তাই ভুল করেও তার সমস্ত দাবিদাওয়া রোজ পূরণ করবেন না। কোনও কিছু পাওয়ার জন্য খুদেকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিন। আপনার শর্তপূরণ সে করলে, তবেই তার দাবি মেটান।
* খুদের জেদ কমাতে নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন। তা হতে পারে আঁকা, খেলা। বর্তমানে শিশুরা আর অন্য়ান্য় বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার সময়, সুযোগ পায় না। সেই সময়, সুযোগ করে দিন। তাতে তার জেদ কমবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.