সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তান যখন জন্মায় তখন সে নিজের খিদে, ঘুমের কথাও ঠিকমতো বোঝাতে পারে না। কান্নার ধরন বুঝে মা বোঝেন তার চাহিদার কথা। সেই সন্তান ধীরে ধীরে বড় হয়। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরের দিকে পা বাড়ায়। তখন নিজের মতো করে জীবন কাটাতে চান সন্তান। অথচ বাবা-মা তাঁকে আগলে রাখার চেষ্টা করেন। আর তা নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের মতবিরোধ তৈরি হয়। তার ফলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। বাবা-মা এবং সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়া মোটেও কাজের কথা নয়। বরং একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠাই প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানকে সবসময় বেঁধে রাখার চেষ্টা ঠিক নয়। আবার বেশি স্বাধীনতা পেলে অল্প বয়সে সে ভুলভ্রান্তিও করে ফেলতে পারে। কৈশোরে ঠিক কতটা স্বাধীনতা দেওয়া উচিত সন্তানকে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সন্দিহান হয়ে পড়েন বাবা-মা। কারণ, প্রত্যেক কিশোর-কিশোরীর বাস্তববোধ, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা একরকম নয়। তাই সন্তানের ধরন অনুযায়ী কতটা স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, তা স্থির করা প্রয়োজন।
জেনে নিন স্বাধীনতা দেওয়ার আগে ঠিক কীভাবে যাচাই করবেন নিজের সন্তানকে।
* স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স খুব বড় ফ্যাক্টর। যদি আপনার সন্তান ১৫-১৬ বছর বয়সি হয় তবে ভুলেও তাকে বেশি রাতে একা বাইরে কিংবা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর স্বাধীনতা দেবেন না। তাকে বুঝিয়ে বলুন, এই স্বাধীনতা পেতে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
* কোনও কিছুর স্বাধীনতা দেওয়ার আগে পরিষ্কার করে কথা বলে নিন। ঠিক যেমন: কখন বাড়ি থেকে বেরবে, কখন ফিরতে হবে, কতক্ষণ সময় সে বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে পারে, ইত্যাদি…।
* যদি সে শর্তপূরণ না করে। তবে আপনাকে অবশ্যই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যবস্থা না নিলে সে বারবার একই ভুল করবে।
* স্বাধীনতা পেলে কিছু কিছু দায়িত্ব নিতে হবে, তা বুঝিয়ে দিন। কিশোর সন্তানকে দায়িত্ব দিন। কাজগুলি সে করতে পারে কিনা খেয়াল রাখুন। তাতে সে দায়িত্বপরায়ণ হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.