ছবি : ফেসবুক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুয়ার্সের কিছু জায়গা আজও প্রচারের আড়ালেই রয়ে গিয়েছে। নৈসর্গিক দৃশ্যের অধিকারী হলেও একমাত্র সেরকম ভ্রমণপিপাসু না হলে পর্যটকরা খুব একটা ভিড় জমান না এসব জায়গায়। সারা বছরের শশব্যস্ত শিডিউলের ক্লান্তি থেকে রেহাই পেতে চাইলে পুজোর ছুটিতে দিন কয়েক বিশ্রামের জন্য বেছে নিতেই পারেন এই অফবিট ডেস্টিনেশনগুলি। এমন জায়গা যেখানে ঘুম ভাঙে পাখিদের কলতানে। এমন জায়গা যেখানে ভোরের বাতাস শিরশিরানি অনুভূতি জাগায় হৃদয়ে। যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকা যায়। ভাবছেন তো কোথায় মিলবে ভিড়ের দাপট এড়িয়ে এমন শান্তির আশ্রয়? তাহলে রইল দার্জিলিংয়ের অনতিদূরে চার সৌন্দর্যের খনির খোঁজ। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে কীরকম খরচ পড়বে? রইল সেসবের সুলুকসন্ধানও।
কোলবং
দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই পাহাড়ঘেরা অপূর্ব গ্রাম কোলবং। চারিদিকে দিগন্তবিস্তৃত সবুজে সাজানো পাহাড়। একটু দূরেই তাকালে দেখা মেলে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার। হাত বাড়ালেই মেঘ ছোঁয়া যায় এই গ্রামে। এককথায় প্রকৃতি যেন নিজহাতে সাজিয়েছে ছোট্ট এই গ্রামকে। শিলিগুড়ি থেকে এই গ্ৰামের দূরত্ব প্রায় ১০২ কিলোমিটার। এনজেপি কিংবা শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে সরাসরি একটি রিজার্ভ প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে চলে আসা যায় এখানে।
বারমেক
কালিম্পংয়ের কাছেই একটা ছোট্ট গ্রাম। যেখানে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সাধ মিটবে ঘরে বসেই। এখানকার ঠান্ডা বাতাস এক নিমিষে ভুলিয়ে দিতে পারে নিত্যদিনের কোলাহল, ব্যস্ততাকে। এখান থেকে সিকিমের একটা অংশ দেখা যায়। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নেমেই সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন বারমেকে। মোটে ৬৫-৭০ কিলোমিটার।
দারাগাঁও
কালিম্পং পার করে এগোলেই দারাগাঁও। রামধুরার পরই দারাগাঁও। চারিদিক ঢাকা ঘন সবুজ পাহাড়। দারাগাঁওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইন আর সিঙ্কোনা। দারাগাঁওয়ের কোলে বসে দেখা যায় দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিমের পাহাড়। দারাগাঁওতে স্টে করে সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন ইচ্ছেগাঁও, সিলেরিগাঁও, রামধুরা।
গুরদুম
মানেভঞ্জন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এক ছোট্ট গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে সুখিয়া পোখরি হয়ে মানেভঞ্জন চলে যান। সেখান থেকে ব্রেক করে গুরদুমে পৌঁছতে হবে। দার্জিলিং থেকে যেতে চাইলে শেয়ার ক্যাব করে নিন সুখিয়া পোখরি অবধি। সেখান থেকে আবার গাড়ি নিয়ে গুরদুম। এখান থেকে টুমলিং, শ্রীখোলা, টোংলু, ধোত্রের মতো ডেস্টিনেশনগুলো কাছে।
খরচ
কোলবং, বারমেক হোক কিংবা দারাগাঁও, গুরদুম, এই প্রত্যেকটি জায়গাতেই বাগডোগরা এয়ারপোর্ট কিংবা এনজেপি স্টেশন থেকে যেতে হলে গাড়ি ভাড়া করতে হবে। চাইলে শেয়ার গাড়িও পেয়ে যেতে পারেন সেখানে। পুরো গাড়ি ভাড়া করলে খরচ প্রায় প্রায় ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। শেয়ার গাড়িতে গেলে মাথাপিছু খরচ অনেকটা কম পড়বে।
হোমস্টেগুলিতে মাথাপিছু খরচ ১৭০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার নিত্যদিন। লাঞ্চ ছাড়া ব্রেকফাস্ট এবং ডিনার থাকবে প্যাকেজে। কোনও কোনও হোমস্টেতে সান্ধ্যকালীন খাবার কমপ্লিমেন্ট (বিনামূল্যে) হিসেবে পেয়ে যেতে পারেন। তবে মরশুম অনুযায়ী রেট পরিবর্তন হতে পারে। সব মিলিয়ে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন, তাতে মন চাঙ্গা হবে আলবাত!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.