সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো আসতে হাতে গোনা আর কয়েকদিন। এর মধ্যেই নানা প্ল্যানিং। অনেকেই গোটা বছর কর্মব্যস্ত থাকেন। পুজোর কটা দিন তাদের মুক্তি। কাজেই, এই সময়টাই হল সুবর্ণ সুযোগ। ভ্রমণপিপাসু বাঙালি একটা ঠিকঠাক ডেস্টিনেশন পেলে তাকে আর ঠেকায় কে? তবে এই পুজোয় (Durga Puja Travel) আপনার গন্তব্য যদি ব্যাংকক হয়, তাহলে পোয়া বারো। কেন জানেন কি? কারণ, ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য বিলাসবহুল হোটেল এবং বুটিক রিসোর্ট ও শিল্পকলায় চমক নিয়ে ব্যাংকক নতুন করে সেজে উঠেছে।
ব্যাংকক থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন খাও ইয়াই আর্ট ফরেস্টে। এটি এখানকার প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যানগুলির একটি। ঘন জঙ্গল, মায়াবী জলপ্রপাত এবং অদ্ভুত সব বন্যপ্রাণী এই উদ্যানের সম্পদ। একই সঙ্গে তা পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গাও বটে। প্রায় ২০০০ বর্গকিমির বেশি এলাকা জুড়ে এই উদ্যান বিস্তৃত। থাইল্যান্ডের প্রায় ৩০০ প্রজাতির পাখি এখানে রয়েছে। এছাড়াও হাইও সুয়াত জলপ্রপাত এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। এমনকী রাত কাটানোর জন্য রয়েছে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড। দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য এই স্থানটি অবর্নণীয়। শিল্প ও প্রকৃতির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের এক দুরন্ত চালচিত্র যেন এই আর্ট ফরেস্ট। এখানে রয়েছে লুইস বুর্জোয়া-এর বিশ্বখ্যাত মাকড়সার ভাস্কর্যটি। এছাড়াও এই বিস্তৃত বনভূমিতে রিচার্ড লং, এলমগ্রিন ও ড্র্যাগসেট, স্টেফানো রাবোল্লি সহ আরও বহু বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পীদের ভাস্কর্য রয়েছে। এই আর্ট ফরেস্ট ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কাজেই, পুজোয় ব্যাংকক গেলে অতি অবশ্যই একবার ঢুঁ মেরে আসুন এখানে।
ঘুরে আসুন আমান নাই লের্ট ব্যাংকক। এটি একটি নতুন বিলাসবহুল হোটেল। ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নাই লের্ট পার্কের অংশ। ব্যস্ত নগর জীবনের ভিতর এই হোটেল পরম শান্তির আশ্রয়স্থল। হোটেলটিতে রয়েছে ৫২টি রুম। রয়েছে ব্র্যান্ডেড আবাসিক ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে অতি বিলাসবহুল মেম্বারস ক্লাব। ২০২৫ সালের এপ্রিলে এই হোটেলটি খোলা হয়।
থাই রাজধানীর অন্যতম বিলাসবহুল হোটেলটি ভুলেও মিস করবেন না। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। কথা হচ্ছে দুসিত থানি ব্যাংকক হোটেল নিয়ে। ব্যাংকক গেলে আগে এখানে ঘুরে আসুন। ১৯৭০ সালে এটি ছিল দেশের সব চাইতে উঁচু ভবন। ২০১৯ সালে ভবনটি ভেঙে ফেলে নতুন করে কাজ শুরু হয়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে পুনর্নিমার্ণের পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে দুসিত থানি ব্যাংকক আবারও নতুন করে খোলা হয়। হোটেলটিতে রয়েছে ২৫৭টি কক্ষ, তিনটি রেস্তোরাঁ, চারটি বার। এই হোটেলটি দুসিত সেন্ট্রাল পার্কের অংশ। হোটেলটির বিপরীতে রয়েছে লুম্পিনি পার্ক। সবুজে ঘেরা শান্ত পরিবেশ। চাইলে যেতে পারেন নৌকো ভ্রমণেও। রয়েছে একাধিক খাবারের স্টল। সঙ্গে আমোদ-প্রমোদের জন্য বহুবিধ সুযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.