সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের গল্প শেষ হতে চলল। এবার পঁচিশের তারুণ্যের পালা। বছরের এই সময়টা মন বড় বেয়াড়া। চার দেওয়ালের বন্দিদশা কাটিয়ে চলে যেতে চায় খোলা আকাশের নিচে। জীবনের আনন্দে বলতে ইচ্ছে করে ‘বেয়ারা, চালাও ফোয়ারা…।’ ছুটির খেয়ালে কারও পছন্দ পাহাড়, কারও আবার সমুদ্রের নেশা। নীল জলের জোয়ারে গা ভাসাতে অনেকেই দিঘা, মন্দারমণি. চাঁদপুরের দিকে পা বাড়ান। এবছর একটু ব্যতিক্রম হতেই পারেন। কলকাতা থেকে মাত্র পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে যমুনাসুল। অফবিট লোকেশনের খোঁজে থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন।
নির্জনতার রূপকথায় সাজানো যমুনাসুল। ওড়িশার জলেশ্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। আধুনিকতার ছোঁয়া এখনও সেভাবে লাগেনি এই সমুদ্রসৈকতে। তাই তো এমন তরতাজা রূপ। নোনা জল এসে আছড়ে পড়ে বালির বুকে। যেন কতযুগের প্রেম। বারবার ফিরে ফিরে আসে ঢেউ হয়ে। প্রকৃতির এই প্রেমের সাক্ষী সারি সারি ঝাউ গাছ। তাতেই যত রোদের লুকোচুরি খেলা।
চাইলে সমুদ্রের ধারে বসে থাকতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নৌকা নিয়ে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে পারেন। আবার খালি নৌকার সামনে পোজ দিয়ে ছবিও তুলতে পারেন। কোলাহল তেমন নেই, তাই পাখিদের কলকাকলি এখনও শোনা যায় যমুনাসুলে।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন ধরতে হবে। সেখান থেকে বাস্তা স্টেশন। সেখান থেকে যমুনাসুলের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। অটো ভাড়া করে যাওয়া যায় আবার যেখানে থাকবেন সেখানে কথা বলে গাড়ির বন্দোবস্ত করে রাখতে পারেন। কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে গেলে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা লাগবে।
থাকবেন কোথায়?
থাকার একাধিক জায়গা রয়েছে। এগুলোর মধ্যেই অন্যতম নেচারস্টে যমুনাসুল গিরি ফার্মহাউস। ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক, লুচি-তরকারির মতো ব্রেকফাস্ট, চা, বাঙালি লাঞ্চ থেকে শুরু করে চা-মুড়ি, রাতের সুস্বাদু ডিনার সবই পেয়ে যাবেন। অ্যাডভেঞ্চার টেন্ট (প্রাপ্ত বয়স্কর খরচ- ১২০০ টাকা, শিশু – ৮০০ টাকা), নন-এসি রুম (প্রাপ্ত বয়স্কর খরচ- ১৫০০ টাকা, শিশু – ১০০০ টাকা), এসি রুমের (প্রাপ্ত বয়স্কর খরচ- ১৮০০ টাকা, শিশু – ১২০০ টাকা) সুবিধা রয়েছে। মাথাপিছু হিসেবেই মূল্য নির্ধারণ। তাতে খাবারের মূল্য যোগ করা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর কোনও বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.