চিলাপাতার জঙ্গলে গিয়েছেন হেরিটেজ কমিটির সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: দেড় হাজার বছর আগে তৈরি ‘নলরাজার গড়’ দেখতে গভীর জঙ্গলে ঢুকলেন আলিপুরদুয়ার হেরিটেজ কমিটির সদস্যরা। শনিবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায়, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরিৎকুমার চৌধুরী, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাশোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে হেরিটেজ কমিটির সদস্যরা চিলাপাতার গভীর জঙ্গলে ঢোকেন। সেখানে গুপ্ত যুগের স্থাপত্য নল রাজার গড়ের প্রবেশদ্বার দেখতে পান তাঁরা।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নলরাজার গড়কে দেখেন তাঁরা। এই কমিটিতে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ও বেশ কিছু অধ্যাপক, শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। বিধায়কের উদ্যোগে জেলায় হেরিটেজ কমিটি গঠিত হয়েছে। এই নল রাজার গড়কে কেন্দ্র করে পর্যটন ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে চায় আলিপুরদুয়ার হেরিটেজ কমিটি। নল রাজার গড় একটি প্রাচীন পুরাত্বিক স্থাপত্য। ১৯৬৮-৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতাত্বিক বিভাগের তৎকালীন ডিরেক্টর পরেশচন্দ্র দাশগুপ্তের নেতৃত্বে এখানে উৎখনন হয়। সেই উৎখননের রিপোর্টে এই নল রাজার গড়কে প্রাচীন দুর্গ বলা হয়েছে। এটি দেড় থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো একটি স্থাপত্য। এটি গুপ্ত যুগের সামরিক শক্তি ও প্রশাসনিক কেন্দ্রের পরিচায়ক।
এদিন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরিৎকুমার চৌধুরী বলেন, “এই স্থাপনাকে স্থানীয় এলাকার অর্থনৈতিক উপযোগী করে তোলার পাশাপাশি গবেষণা ও পর্যটনের বিকাশে কাজে লাগাতে চাই। সেই কারণে এই স্থাপত্যকে কাছে থেকে দেখতে এসেছি।” আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, “এই স্থাপত্যকে সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারলে এর সংস্কার ও সংরক্ষণে তহবিল পেতে পারি। এই স্থাপত্য জেলার পর্যটনের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিতে পারে।’’
উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা পর্যটনের জন্য প্রসিদ্ধ। রাজ্য সরকার পর্যটনের দিকে আরও নজর দিয়েছে। ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘিরেও পর্যটন ব্যবসা ক্রমে বাড়ছে। চিলাপাতার জঙ্গলও পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় আছে। এবার পর্যটক টানতে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে এই নলরাজার গড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.