Advertisement
Advertisement
Offbeat Travel

নিরিবিলি প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ সিকিমের এই গ্রাম, যাবেন আগামী ছুটিতে?

এমন জায়গা যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকা যায়।

Offbeat travel spot Tshalamthang, a real beauty in South Sikkim

ছবি: সংগৃহীত

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 30, 2024 4:52 pm
  • Updated:June 30, 2024 4:53 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমন জায়গা যেখানে ঘুম ভাঙে পাখিদের কলতানে। এমন জায়গা যেখানে ভোরের বাতাস শিরশিরানি অনুভূতি দিয়ে যায়। আর এমন জায়গা যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকা যায়। এই খোঁজ আপনার থাকলে চলে যান সালামথাংয়ে। দক্ষিণ সিকিমের এই গ্রাম নিরিবিলি প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। পর্যটন মানচিত্রে এখনও তুমুল জনপ্রিয়তার পর্যায়ে পৌঁছায়নি সালামথাং। তাই তো এই জায়গা এখনও আনকোরা। ঘোরাঘুরির জন্য গাড়ি অবশ্যই পাবেন, তবে তাতে যাত্রাপথের নিসর্গশোভা কিছুটা তো পায়ে হেঁটে দেখতেই পারেন। বেশ লাগবে।

Advertisement
Tshalamthang-2
ছবি: সংগৃহীত

সালামথাংয়ের প্রধান আকর্ষণ প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো এক কুটির। বাঁশ, ঘাস আর গাছের ডালে তৈরি এই কুটির সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়ের ঢালে। চাইলে সেখানে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। পার্বত্যবাসের নির্মাণশৈলী উপভোগ করার পর চলে যেতে পারেন বান জাখরি গিরিকন্দর। শোনা যায়, এই গুহায় আগে থাকত সিকিমের ওঝারা। সিকিমের ভাষায় তাদের বলা হয় জাখরি। আর, বান মানে গুহা। তা বলে ভাববেন না, ভূতের ওঝার গুহা মানেই খুব ভয়ংকর কিছু। বরং, সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলে এই গুহার সৌন্দর্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে।

[আরও পড়ুন: ‘কে নায়ক নন বলুন তো?’, ভারতের জয়ে মতি নন্দীর উপন্যাসের কথা মনে করালেন রূপম]

এর পরের গন্তব্য হতে পারে দারার দিকে। সিকিমের ভাষায় দারা মানে পাহাড়চূড়া। সালামথাং-এর ধারে-কাছে ছোট ছোট চূড়া আছে। যেখানে হেঁটে উঠতে একটুও কষ্ট হবে না। বরং, উঠলে দেখতে পাবেন, আপনার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। আর, তার সামনেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাছাকাছিই রয়েছে রয়েছে হারে দারা। এই হারে দারা সালামথাংয়ের মানুষের কাছে খুব পবিত্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, হারে দারায় এসে নববিবাহিত দম্পতি যদি কিছু প্রার্থনা করেন, তবে তাঁদের কামনা পূর্ণ হয়।

যদি মনে হয়, শুধুমাত্র সালামথাংয়েই আটকে থাকবেন না, তাহলে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন রাভাংলা। যেতে পারেন চার ধাম। সেখানে শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ এবং সেই সব মন্দিরের প্রতিমূর্তি রয়েছে। রয়েছে এক বিশাল শিবমূর্তিও। রয়েছে আকাশছোঁওয়া গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তি। সারা সিকিম যাঁকে নিজেদের রক্ষাকর্তা বলে মনে করে।

Tshalamthang-3
ছবি: সংগৃহীত

কী ভাবে যাবেন?
প্রথম গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন। সেখান থেকে ঘণ্টা তিনেক ভাড়ার গাড়িতে সালামথাংয়ে চলে যেতে পারেন। সারা বছর এখানে যাওয়া যায়। বৃষ্টি পছন্দ হলে বর্ষাকালেই যান। তবে আগে থেকে পরিস্থিতি জেনে রাখবেন। থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। আর সেখানে ফোন করলেই জানতে পারবেন বিস্তারিত।

[আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে ০৬ জুলাই পর্যন্ত Horoscope: কর্মে বাধা না অগ্রগতি? জেনে নিন সাপ্তাহিক রাশিফল]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ