Advertisement
Advertisement

Breaking News

Toy Train

পুজোর উপহার! আরও তিন রুটে চালু হচ্ছে টয়ট্রেন

এই পরিষেবাগুলো পর্যটকদের মন জয় করবে বলে আশাবাদী ডিএইচআর।

Toy Train will run in new 3 routes in North Bengal

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 5, 2025 1:59 pm
  • Updated:August 22, 2025 4:17 pm   

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: পুজোর আগে আরও নতুন কয়েকটি পরিষেবা চালু করতে চলেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। সুকনা থেকে রংটং, কার্শিয়াং থেকে মহানদী ও কার্শিয়াং থেকে টুং নতুন এই তিন রুটে টয়ট্রেন চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

অনেকেই সময়ের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং দীর্ঘ পথ যেতে চান না। তাই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার অনেকের টয়ট্রেন চড়ার ইচ্ছা হলেও পাহাড়ে যেতে পারেন না। তাই সুকনা থেকে রংটং টয়ট্রেন চালানো হবে। পুজোর সময় পর্যটকদের ঢল নামে। তাই এই পরিষেবাগুলো তাদের মন জয় করবে বলে আশাবাদী ডিএইচআর। শুক্রবার, টয়ট্রেনের ১৪৪তম জন্মদিনে এই ঘোষণা করা হয়।

 

Toy-Train
ফাইল ছবি

৪ জুলাই ১৮৮১ সালে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথের নিস্তব্ধতা ভেঙে পাইনের জঙ্গল দিয়ে কু ঝিক ঝিক করতে করতে রওনা দেয় টয়ট্রেন। তখন অবশ্য শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এই ঐতিহাসিক টয়ট্রেন। সেই ঐতিহ্যকে স্মরণে রাখতে এই প্রথমবার সুকনায় ‘টয়ট্রেন দিবস’ উদযাপিত হয়। নর্থবেঙ্গল পেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের যৌথ উদ্যোগে শিলিগুড়ির সুকনা স্টেশনে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় এই দিনটি। সকাল থেকেই চিত্র প্রদর্শনী ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্টেশন চত্বর জমজমাট হয়ে ওঠে। প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে এই অনুষ্ঠানে। তাদের টয়ট্রেনেও চড়ানো হয়। তবে শুধু শিশুরাই নয়, শতাধিক চিত্রশিল্পীও তাঁদের তুলি আর রঙে ফুটিয়ে তোলেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের গৌরবগাথা।

 

Darjeeling toy train to resume services on Christmas

অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল এক ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন, যেখানে দর্শনার্থীরা ফটো সেশন ও সংক্ষিপ্ত সফরের মাধ্যমে উপভোগ করেন ট্রেন যাত্রার আনন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর চন্দনকুমার রায়, স্টেশন ম্যানেজার ও নর্থবেঙ্গল পেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরই এই দিনটি আরও বড় পরিসরে উদযাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। টয় ট্রেনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন উপস্থিত অতিথিরা। চন্দন কুমার রায় বলেন, “টয়ট্রেনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ