Advertisement
Advertisement
Durga Puja Travel Railway Booking

পুজোয় ‘হাউসফুল’ রেলের টিকিট বুকিং কাউন্টার, কাশ্মীর থেকে কালিম্পংয়ে ছুটবে বাঙালি

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করতে চলেছে ভারতীয় রেল।

Train Ticket crisis as festive frenzy grips people| Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:June 24, 2023 4:13 pm
  • Updated:June 24, 2023 4:13 pm   

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মশাই একটা টিকিট পাই কোথায় বলতে পারেন? বুধ ও বৃহস্পতিবার এই কথাই শোনা গেল বাঙালির মুখে মুখে। পুজোর টিকিট বুকিংয়ের উইন্ডো খোলার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঝুলে গেল ‘অদৃশ্য’ হাউসফুল বোর্ড। দিল্লি, নিউ জলপাইগুড়ি, কাশ্মীরের মতো বাঙালির ‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’-এর টিকিট ফুরোতে লাগল মোটে পাঁচটি মিনিট। কিছু ক্ষেত্রে আরও কম।

Advertisement

২০২০ ও ২০২১। কোভিড আবহে এই দু’বছর ঘরকুনো হয়েই থাকতে হয়েছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে। গত বছর সেই বাধা উঠতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুট লাগিয়েছিল পায়ের তলায় সর্ষে থাকা বাঙালি। যার ব্যতিক্রম হল না এবারও। নতুন নিয়মে এখন নির্দিষ্ট দিনের

১২০ দিন আগে থেকে খুলে যায় টিকিট কাটার উইন্ডো। এবার ষষ্ঠী ২০ অক্টোবর। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হয় ষষ্ঠীর টিকিট বিক্রি। তবে শুরুতেই শেষ। আন্দাজটা মিলেছিল বুধবার। পঞ্চমীর দিনের টিকিটও এভাবেই মুহূর্তের মধ্যে ‘সোল্ড আউট’ হয়ে যায়। ফেসবুকের ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপে দেখা দেয় টিকিটের হাহাকার। ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে আইআরসিটিসি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লগ ইন করতেও গলদঘর্ম হতে হয়েছে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন আর শুধু অনলাইনের ভরসায় থাকেনি বাঙালি। ভোর থাকতে, কেউ কেউ তো আবার গোটা রাতটাই কাটিয়েছেন অফলাইন টিকিট কাউন্টারের সামনে। ভিড় এড়াতে অনেকে আবার চলে গিয়েছিলেন শহরতলির তুলনামূলক ‘লো প্রোফাইল’ কাউন্টারে। কেউ কেউ কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়েও সার্ফ করে গিয়েছেন মোবাইল। তবে এতকিছু করেও বেশির ভাগকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।

[আরও পড়ুন: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুতে এখনও জারি ধোঁয়াশা, পুলিশের জালে লিভ ইন পার্টনার]

বাঙালির ‘দি-পু-দা’ অর্থাৎ দিঘা, পুরী, দার্জিলিং তো বটেই, মিনিট তিনেকের মধ্যে আরএসি-তে চলে যায় দিল্লি, জম্মু, মুম্বই-সহ অন্যান্য ‘হটস্পট’-এর টিকিট। পলকের মধ্যে ওয়েটিং। একটু ঝুঁকি ও আশা নিয়ে অনেকে অবশ্য ওয়েটিং টিকিটও কেটে বসেছেন। যদি ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে। টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ায় অবিশ্বাস, হতাশার ছাপের দেখা মিলছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও। কেউ দুষছেন মোবাইলের স্পিডকে, কেউ বা রেলের অ্যাপ/ওয়েবসাইটকে। অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা ঠিক সময়ে লগ-ইনই করতে পারেননি। যখন পেরেছেন, ততক্ষণে ঝুলে গিয়েছে লাল চিহ্ন।

যাত্রীদের এমন চাহিদায় যারপরনাই খুশি রেল। পুজোর সময় তাঁদের আপ্যায়নের জন্য এখন থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পরিকল্পনা। আইআরসিটিসি-র যুগ্ম জেনারেল ম্যানেজার মধুমিতা চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, “বাঙালি যাত্রীদের পুজোর স্পেশ্যাল দিনের কথা মাথায় রেখে খাবারে বিশেষ কিছু তো থাকবেই। তবে এখনও তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা হয়নি।” রেল সূত্রের খবর, যাঁরা টিকিট কাটতে পারলেন না, তাঁদের এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করতে চলেছে ভারতীয় রেল।

[আরও পড়ুন: জ্যোতি বসুর স্মৃতিকে সামনে রেখে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর উদ্যোগ, সিপিএমের প্রচারে এবার ‘ইয়ং ব্রিগেড’]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ