সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের গতির সঙ্গে বদলাচ্ছে প্রযুক্তিও! বিশেষ করে স্মার্টফোনের জগতে গত কয়েক বছরে বিপ্লব ঘটেছে। আর সেই সঙ্গে বদলেছে সিমের ধরনও। প্রিমিয়াম স্মার্টফোনগুলিতে এখন সাধারণ সিমের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে ই-সিম। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভার্সান। আলাদা করে ফোনে ইনসার্ট করার প্রয়োজন নেই। জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোনের মতো বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি ই-সিমের সাপোর্ট দেয়।
তবে একটা বড় সংখ্যায় মোবাইল ব্যবহারকারীরা যদিও এই ই-সিমের বিষয়ে জানেন না। আর সেই সুযোগে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে সাইবার অপরাধীরা। শনিবার এই বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ই-সিমের সঙ্গে কোথায় আলাদা সাধারণ ফিজিক্যাল সিম? সবার ফোনেই কি থাকে?
সাধারণ সিম কার্ড কি?
দেশের বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই সাধারণ কিংবা ফিজিক্যাল সিম কার্ড (SIM-Subscriber Identity Module) ব্যবহার হয়ে থাকে। যা বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে পাওয়া যায়। মূলত ছোট প্লাস্টিক কার্ডের উপর থাকে একটি চিপ। সেটি মূলত ফোনে ইনসার্ট করতে হয়। এরপরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলা সম্ভব হয়। একই সঙ্গে ইন্টারনেট, ফোন নম্বর সবকিছু সেভ করা সম্ভব। বর্তমানে ফোনগুলিতে ন্যানো সিম ব্যবহার করা হচ্ছে।
ই-সিম আসলে কি?
ফিজিক্যাল সিমের ডিজিটাল ভার্সন এই ই-সিম (eSIM-Embedded Subscriber Identity Module)। ফোনের হার্ডওয়ারের সঙ্গেই থাকে এটি। আলাদা করে বাইরে থেকে সিম নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি কিআরকোড স্ক্যান করে কিংবা ফোনের সেটিংস অপশন ঘেঁটে সেটি অ্যাক্টিভেট করা হয়ে থাকে। ভারতে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনগুলি যেমন, আইফোন, গুগল পিক্সেল কিংবা স্যামসং গ্যালাক্সির বেশ কিছু মডেলে এই ই-সিমের অপশন দেওয়া হয়েছে।
ই-সিমের থেকে কোথায় আলাদা সাধারণ সিম?
সাধারণ সিম খোলা সম্ভব, কিন্তু ই-সিম ফোনের থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়। নেটওয়ার্ক বদল ই-সিমের ক্ষেত্রে অনেক সহজ। শুধুমাত্র কিআর কোড স্ক্যান করলেই বদলে যাবে মোবাইল অপারেটর। কিন্তু সাধারণ সিমের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া এতটা সহজ নয়। অন্যদিকে ই-সিম অনেক বেশি সুরক্ষিত। চুরি কিংবা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কিন্তু সাধারণ সিমের ক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।
তবে ই-সিম যুক্ত ফোন এখন প্রতারকদের নজরে। এই বিষয়ে সম্প্রতি সতর্ক করেছে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার। যেখানে বলা হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা গ্রাহকদের ফোনে লিঙ্ক পাঠিয়ে ই-সিমে বদলে দিচ্ছে। এরপরেই ফোন থেকে উড়ে যাচ্ছে নেটওয়ার্ক। ফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে সাইবার অপরাধীদের হাতে। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের ওটিপি থেকে শুরু করে সমস্ত তথ্যও চলে যাচ্ছে অপরাধীদের কাছে। ফলে সন্দেহজনক লিঙ্কে কেউ যাতে ক্লিক না করে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.