সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ আজও সমাজের আড়ালে আবডালে ঘটে চলেছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই প্রথার রমরমা চল এখনও রয়েছে ভারতের পিছিয়ে পড়া বেশ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সাধারণ লোকসমাজের আড়ালে এই সব ঘটনা ঘটায়, তা সচরাচর আমাদের নজরে আসে না। কিন্তু সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় চাউর হতেই টনক নড়েছে সমাজকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেরই।
পেশায় তিনি শিক্ষক। বয়েস চল্লিশ। ঘরে রয়েছেন স্ত্রী। তার পরেও নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। আর এ ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল পাড়াপ্রতিবেশী, স্ত্রী-পরিবার প্রত্যেকেই। না, এখানেই শেষ নয়! পাত্রী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। আর এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানা রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ৪০ বছর বয়সি এক শিক্ষক ১৩ বছর বয়সি অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে করেন। ঘটনাটি হায়দরাবাদের থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরের নন্দিগামায় ঘটেছে। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই কড়া হাতে পদক্ষেপ নেন তেলেঙ্গানা পুলিশ। ঘটনাটি সামনে আসতেই ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে সমাজ মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর স্কুলের এক শিক্ষক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেন পুলিশ। বিয়ের মণ্ডপের কিছু ছবি ও একটি ভিডিওকে প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহে রেখে পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ব্যক্তি ও নববধূ সহ তাঁর পরিবার এবং পুরোহিতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
কৈলাস সত্যার্থী চিলড্রেনস ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালে বাল্যবিবাহ আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। তারপরও এই ধরনের ঘটনা প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে মাঝেমধ্যেই ঘটে চলেছে। বিশেষ করে আইনকে অমান্য করে এই ধরনের অপরাধ যারা সংঘটিত করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কড়া শাস্তি দেওয়া দরকার।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ওই শিক্ষকের এর আগে আরও অন্য কোনও বিবাহ ছিল কিনা তা যাচাই করে দেখছে। একইসঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে যে পুরোহিত ও লোকজন ব্যবস্থাপনায় ছিল তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.