Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maha kumbh

মহাকুম্ভে মহালাভ, ৪৫ দিন নৌকা চালিয়েই ৩০ কোটি আয় যুবকের! দাবি যোগীর

মোক্ষলাভের উদ্দেশে কোটি কোটি ভক্ত ছুটে এসেছিলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে।

Boat-owning family in UP raked in Rs 30 crore in 45 days of Maha kumbh, claims Yogi
Published by: Hemant Maithil
  • Posted:March 6, 2025 6:14 pm
  • Updated:March 6, 2025 6:26 pm  

হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: এবছর প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। এই ধর্মীয় সমাবেশ অনেকেরই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন পাথরের মালা বিক্রেতা মোনালিসা ভোঁসলে। রাতারাতি সেনসেশন হয়ে ওঠা এই ষোড়শীকে বলিউডের পর্দাতেও দেখা যাবে। এবার এই ভাগ্যবানের তালিকায় জুড়লেন পিন্টু মহারা নামে এক যুবক। কারণ ৪৫ দিন ধরে মহাকুম্ভে শুধুমাত্র নৌকা চালিয়েই তিনি উপার্জন করেছেন ৩০ কোটি টাকা! অনেকেই হয়তো এই খবর শুনলে অবাক হবেন। কিন্তু এই চমকপ্রদ তথ্য জানিয়ে এমনই দাবি করেছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

Advertisement

অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত টাকা উপার্জন করলেন পিন্টু? বিধানসভায় সেই তথ্য ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। তিনি জানান, ওই যুবক প্রয়াগরাজের বাসিন্দা। ত্রিবেণী সঙ্গমে তাঁর ৬০টি নৌকা চলে। কিন্তু মহাকুম্ভ শুরু হলে তিনি সেই নৌকার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩০ করে দেন। এবছর কোটি কোটি ভক্ত সমাগম হয়েছে মহাকুম্ভে। তাই একদিনও তাঁর নৌকা ফাঁকা যায়নি। প্রতিদিন তাঁর প্রতিটি নৌকায় ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা উপার্জন হয়েছে। ৪৫ দিনে সব মিলিয়ে তাঁর আয় হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, মোক্ষলাভের উদ্দেশে কোটি কোটি ভক্ত ছুটে এসেছিলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। আস্থার ডুব দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অন্তত ৬৬ কোটি মানুষ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মীয় উৎসবের সমাপ্তি ঘটেছে ৪৫ দিন পর, ২৬ ফেব্রুয়ারি। এই মহাকুম্ভ ফের আয়োজিত হবে ১২ বছর পর। এবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ডিজিটাল মহাকুম্ভ’-এর স্বপ্ন সার্থক করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বপ্নের বাস্তবায়নে রাজ্যের নতুন প্রতিষ্ঠিত ৭৬তম জেলা ‘মহাকুম্ভ নগরে’ রেকর্ড সময়ে যাবতীয় নাগরিক পরিষেবা প্রদান করেছিলেন যোগী। মেলা আয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যাপক হারে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি।

যোগী সরকারর তরফে তৈরি করা হয়েছিল ‘মহাকুম্ভ ল্যান্ড অ্যান্ড ফেসিলিটি অ্যালোকেশন’ অ্যাপ। সেখানে এক ক্লিকেই জানা যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনের যাবতীয় তথ্য। মেলায় অংশগ্রহণেরও আবেদন করা গিয়েছিল এই অ্যাপেই। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যার্থীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ফলে এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন ২০২৭ সালের নাসিক কুম্ভ মেলার জন্য।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement