Advertisement
Advertisement
Jakarta

আধুনিক সমাজ থেকে দূরে গিয়ে জঙ্গলবাসী তিনি, জাকার্তায় খোঁজ মিলল বাস্তবের ‘‌মোগলি’‌র

কথা বলতে পারেন না, এমনকী মায়ের হাতের রান্নাও পছন্দ নয়।

Here Is Mowgli In Real Life; Lives In The Forest In Jakarta, Eats Grass And Can't Talk | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:November 30, 2020 12:48 pm
  • Updated:November 30, 2020 1:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ ২১ বছর বয়স। কিন্তু আর পাঁচজন সাধারণ যুবকের মতো দেখতে নয়। তাঁদের মতো জীবনযাপনও নয়। সারাদিন জঙ্গলে থেকে ঘাস–পাতা কিংবা কলা খাওয়ার অভ্যেস। বাড়ির রান্না মুখেও তোলেন না। আর মা–বাবা ছাড়া অন্য কোনও মানুষ দেখলেই এক দৌড়ে জঙ্গলের ভিতর। হ্যাঁ, এটাই জাকার্তার (Jakarta) এলির জীবনযাত্রা। ছোট থেকেই বিরল রোগে ভুগতে থাকা এলি যেন রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের (Rudyard Kipling) গল্পের সেই ‘‌মোগলি’ (Mowgli)। যে কি না সভ্য জগত থেকে দূরে জঙ্গলের পশুদের কাছে থেকেই বড় হয়ে গিয়েছিল। আর আশ্চর্যের, এলির স্বভাবও পুরোদস্তুর মোগলির মতোই।‌

Advertisement

সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন এলি। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর মা–বাবার ষষ্ঠ সন্তান। এর আগে পাঁচ সন্তান জন্মানোর পরই মারা গিয়েছিল। তাই এলি তাঁদের কাছে ভগবানের আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু এহেন সন্তানই ছোট থেকে বিরল রোগে আক্রান্ত। সভ্য সমাজ থেকেও তাঁকে বেশি টানে বন, জঙ্গল। আর তাই সারাদিন কেটে যায় বনে–বাদারে। ভাল লাগে না মায়ের হাতের রান্না। লতাপাতা, কলা, ফল খেয়েই দিন কেটে যায়।

Here Is Mowgli In Real Life; Lives In The Forest, Eats Grass And Can't Talk
মায়ের সঙ্গে এলি

[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় নিভারের পর মিলল সোনার হদিশ! অন্ধ্রপ্রদেশে সমুদ্রের তীরে ভিড় স্থানীয়দের]

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এলির মা জানান, ছোট থেকেই ছেলে বিরল রোগে আক্রান্ত। কথা বলতে পারে না। সাধারণ মানুষের মতো খাবার পছন্দ করে না। কলা খেতেই তাঁর ভাল লাগে। অন্য কিছুই পারে না। কেবল দৌড়তেই ভাল জানে। তিনি সাক্ষাৎকারে আরও বলেন যে, ”কোনও মানুষকেই পছন্দ করেন না এলি। কেউ ধারেকাছে ঘেঁষার চেষ্টা করলেই এক দৌড়ে বনের ভিতর। ওর পিছনে আমাকেও ছুটতে হয়। না হলে ছেলে কোনওদিন বাড়ি ফিরবে না।” মাঝেমধ্যে নাকি সপ্তাহে ২৩০ কিলোমিটারও দৌড়ে ফেলে এলি।

[আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছেমতো মদ্যপান আর ধূমপান করেই এতদিন বেঁচে আছি’, দাবি চিনের শতায়ু বৃদ্ধের

তবে মহিলার আক্ষেপ, প্রতিবেশীরা এলিকে ভালবাসে তাঁর খেয়াল রাখলেও, গ্রামের কয়েকজন তাঁর ছেলেকে ‘‌বাঁদর’ বলে খেপায়। শুধু ছোটরা নয়, বড়রাও মাঝেমধ্যে এলিকে খেপিয়ে তোলে, মারধর করে। আর তাই হয়তো এলিও মানুষজনকে খুব বেশি পছন্দ করেন না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement