সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাদুঘর (Museum)! শব্দটা মাথায় এলেই মমি, ফসিলস, প্রাচীন মুদ্রা কিংবা ভাস্কর্যের কথা মনে পড়ে? কিন্তু ভাবুন তো এমন এক জাদুঘরে গেলেন যেখানে এক ও একমাত্র মূল আকর্ষণ সুরা! ভাবতে যতই আশ্চর্য লাগুক, ঠিক এমনই এক জাদুঘর তৈরি হয়ে গিয়েছে গোয়ায় (Goa)। যে কোনও সুরাপ্রেমীর অবশ্য গন্তব্য হতে পারে ওই জাদুঘর।
তবে যে কোনও সুরা নয়, মূলত গোয়ার বিখ্যাত মদ ‘ফেনি’ই রয়েছে এই জাদুঘরের যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রে। সুপ্রাচীন এই স্থানীয় মদ কেবল যে পানীয় হিসেবেই জনপ্রিয় তা নয়, সেই সঙ্গে একে ঘিরেও তৈরি হয়েছে নানা শিল্পকর্ম। সেই সব প্রাচীন শিল্পকর্মের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিম নামের গ্রামে অবস্থিত জাদুঘরটিতে। যার মধ্যে অন্যতম গোয়ার ঐতিহ্যবাহী বড় আকারের সুরাপাত্র। বহু শতাব্দী আগে মদ সংরক্ষণের সময় ওই পাত্রগুলিতেই রাখা হত। স্থানীয় ব্যবসায়ী নন্দন কুডচাডকর তাঁর তৈরি এই জাদুঘরে এভাবেই ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন গোয়ার সুরা-সংস্কৃতির ইতিহাসকে।
নন্দন একজন প্রত্ন সংগ্রাহক। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা করলেন তিনি? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ”আপনি যদি স্কটল্যান্ডে যান দেখবেন সেখানকার নাগরিকরা তাঁদের জল কিংবা পানীয় সব কিছু নিয়েই দারুণ খুশি। আবার রাশিয়ায় গেলেও তাঁরা আপনাকে দেখাবে কী ধরনের পানীয় তাঁরা পান করেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলকে একেবারেই আলাদা চোখে দেখা হয়। আর সেকথা মাথায় আসতেই আমি সিদ্ধান্ত নিই দেশের প্রথম অ্যালকোহল জাদুঘর নির্মাণের।”
এই জাদুঘরে এলে দেখা মিলবে কাজু-ফেনির। এই পানীয় প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। বিখ্যাত এই পানীয় থাকবে টুরিস্টদের দর্শনের জন্য। জাদুঘরের সিইও আর্মান্দো দুয়ের্তের কথায়, ”গোয়ার বাসিন্দাদের কাছে অ্যালকোহল হল আতিথেয়তার প্রতীক।” জাদুঘর দেখে চমকে গিয়েছেন টুরিস্টরা। এক টুরিস্টের কথায়, ”এখানে যা যা আছে তা অভাবনীয়। আমি এখানে এসে চমকে গিয়েছি। টুরিস্টদের জন্য দারুণ সব চমক রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.