অরূপ বসাক, মালবাজার: আস্ত ছাগল গিলে আর নড়াচড়ার ক্ষমতাও ছিল না! ঝোপের মধ্যেই কোনওরকমে পড়েছিল সে। শেষপর্যন্ত স্থানীয়দের নজরে আসে গোটা বিষয়টি। চাঞ্চল্য, আতঙ্ক ছড়ায় চা বাগান এলাকায়। পরে বনকর্মীরা বিশালাকার ওই অজগরটিকে উদ্ধার করল। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির মালবাজার এলাকার।
মালবাজার এলাকায় একাধিক চা বাগান আছে। ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই অজগর বেরতে দেখা যায়। বনকর্মীরা লোকালয় থেকে অজগর উদ্ধারও করেছেন অতীতে। এদিনের ঘটনাটি মালবাজারের নাগরাকাটার টোন্ডু চা বাগান এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দারা সকালে চরানোর জন্য ছাগল ছেড়ে দেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির একটি ছাগল ওই চা বাগান এলাকায় ঘুরছিল। সেসময় ওই অজগরটি ছাগলটিকে ধরে ফেলে। নিজের সঙ্গে জড়িয়ে এরপর ধীরে ধীরে আস্ত ছাগলটিকেই উদরস্ত করে সে। আস্ত ছাগলটি অজগরের পেটের মধ্যে রয়েছে। সেই বিষয়টি বাইরে থেকে ও দিব্য বোঝা যাচ্ছিল।
এদিকে ছাগল দেখতে না পেয়ে ওই ব্যক্তি সেটিকে খুঁজতে বেরোন। চা বাগানের মধ্যে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ হয় তাঁর। ভয়ে, আতঙ্কে অন্যান্যদের ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। চা বাগানের দৃশ্য দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। গোটা ছাগল গিলে আর ওই অজগরের নড়াচড়ার অবস্থা পর্যন্ত ছিল না। কোনওরকমে একটি ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিল ওই বিশালাকার অজগর। ঘটনা জানাজানি হতেই চা বাগানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। অনেকে মোবাইলে ছবি, ভিডিও তুলতে শুরু করে।
খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। খুনিয়া রেঞ্জের অফিস থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই অজগরটি প্রায় ১৪ ফুট লম্বা। ওজনও পায় একশো কেজির কাছাকাছি। কিন্তি সেটিকে উদ্ধার করা হবে কীভাবে? ওই বিশালাকার অজগরকে কীভাবে খাঁচায় ভরা হবে? অজগরটি সদ্য ছাগলটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। ফলে নতুন করে আর আক্রমণের সম্ভাবনা নেই। সেকথা মনে করেই বনকর্মীরা অজগরটিকে হাতে ধরেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। চার-পাঁচজন বনকর্মী অজগরটিকে তুলে খাঁচাবন্দি করেন। সেটিকে খুনিয়া রেঞ্জের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার পর সেটিকে গভীর বনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর। ছাগলমালিককে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে বলে বনদপ্তরের থেকে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.