Advertisement
Advertisement
Domkal

গয়না বাঁচাতে বাপের বাড়িতে লুকিয়েও রক্ষা নেই! ১৫ ভরি সোনা লুট করে শ্রীঘরে ছেলে-বউমা

স্কুটির মধ্যে লুকনো ছিল চুরির গয়না।

Son and daughter-in-law arrested for looting gold in Domkal

সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:July 29, 2025 4:27 pm
  • Updated:July 29, 2025 4:27 pm   

অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: মায়ের সোনার গয়না হাতানোর চেষ্টা করেছিল ছেলে ও ছেলের বউ। তাঁদের থেকে গয়না রক্ষার জন্য সেই গয়না ওই মহিলা তাঁর মায়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। তবে সেই গয়না রক্ষা হয়নি। দিদার অনুপস্থিতিতে নাতি ও নাতবউ ওই বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। ১৫ ভরি সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দিয়েছিলেন তাঁরা? কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করল ওই দুই গুণধরকে। উদ্ধার হয়েছে ওই সোনার গয়নাও। আপাতত শ্রীঘরে ওই স্বামী-স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায়।

Advertisement

রানিনগর থানার বংশীবদনপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা আরতি গুপ্ত। তিনি দিন কয়েক আগে দৌলতাবাদে মেয়ে সাথী কর্মকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ২৪ জুলাই রাতে তাঁর বাড়িতে চুরি হয়। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ১৫ ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় চোর। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ঘরের দরজা ভাঙা দেখতে পেয়ে আরতিকে খবর দেন। তিনি রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের নাতি রাহুল কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী মিঠুর প্রতি সন্দেহ হয়। প্রথমে দুজনের কেউই ওই চুরির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন। স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়। বিচারক রাহুলকে পাঁচদিন ও মিঠুকে তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ হেফাজতে শুরু হয় জেরা। ধারাবাহিক জেরায় গয়না চুরির কথা স্বীকার করে নেন দুজনেই। কিন্তু চুরির গয়না কোথায় রাখা হয়েছে? ধৃতরাই সেই কথা জানিয়ে দেন। রাহুলের স্কুটির ভিতরে ওই সোনার গয়না লুকনো ছিল। পুলিশ স্কুটির ভিতর থেকে মোট ১৪ ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করে। বাকি এক ভরি গয়নার খোঁজ চলছে।

জানা গিয়েছে, ওই গয়না আসলে রাহুলের মা সাথী কর্মকারের। গুণধর ছেলে ওইসব গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই চেষ্টা করতেন। ছেলের থেকে গয়না বাঁচাতে সাথী গোপনে ৩০ কিমি দূরে মা আরতী গুপ্তের কাছে রেখে এসেছিলেন। কোনওভাবে সেই গয়নার হদিশ পেয়ে গিয়েছিলেন রাহুল ও তাঁর স্ত্রী মিঠু। তারপরই দিদার বাড়িতে চুরির ছক কষা হয়েছিল। নিজেদের বাড়িতে দিদা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রানিনগর থানায় এই বিষয়ে ডোমকলের সিআই তাপস রায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। চুরি ও গয়না উদ্ধারের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ