সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস মানেই হট্টমেলা। কাজের ফাঁকেই ছুটতে থাকে কথার ফুলঝুরিও। দরকারি-অদরকারি নানা কথায় জুড়ে থাকেন সহকর্মীরা। কিন্তু যদি দেখা যায় একজন নিজের কাজেই মগ্ন। তাতে মুখে কথার খই ফোটা কর্মীর অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এইচআরে নালিশ ঠুকে দেওয়া! অফিসে চুপ থেকে এমনই ‘শাস্তি’ পেয়েছেন এক যুবতী! সোশাল মিডিয়ায় নিজের অভিমান ভরা পোস্টে এই দাবি করেছেন ২৯ বছরের ওই মেয়েটি। যা শুনে তাজ্জব নেটিজেনরা।
কিন্তু ব্যাপারটা কী? ওই যুবতীর দাবি, তিনি এক মার্কেটিং এজেন্সির অ্যানালিটিক্স বিভাগে কাজ করেন। যেহেতু স্প্রেডশিট ও তথ্য নিয়েই কারবার, তাই গুলতানিতে মত্ত না থেকে নিজের কাজেই ফোকাস করাই সঠিক বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু এরিন নামে তাঁর এক সহকর্মী এই বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই তাঁকে কথা শোনাতেন। এমনকী সে মিটিংয়েও খুব বেশি কথা বলে না, এই অভিযোগও করতেন তিনি। শেষপর্যন্ত একেবারে হিউম্যান রিসোর্স দপ্তরেই নালিশ করে বসেন এরিন। এতে হকচকিয়ে যান ওই যুবতী। তিনি দাবি করেছেন, এআইআর তাঁকে ডেকে পাঠানোয় প্রবল বিস্নিত হন তিনি। বুঝতে পারেন না, কাজে মন দিয়ে কি তবে ভুলই করে ফেলেছেন। যদিও তাঁর ম্যানেজার তাঁকেই সমর্থন করেন।
এতেই শেষ নয়, ফের একই অভিযোগ করেন এরিন। এবার তাঁর অভিযোগ আরও বড়। তিনি দাবি করেছেন, এভাবে সহকর্মীদের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে আসলে তিনি গোটা টিমেরই মনোবল ভাঙছেন! প্রশ্ন তুলেছেন, কাজ যতই থাক অফিসের গ্রুপে কোনও মজার কথা হলে কেন সেখানেও ইমোজি পাঠান না ওই যুবতী। অফিসের ভিতরে হওয়া আড্ডায় কারও কোনও ব্যক্তিগত বিষয়েও মাথাব্যথা নেই তাঁর।
স্বাভাবিক ভাবেই যুবতীর এমন পোস্ট পড়ে বহু নেটিজেনই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে অধিকাংশই পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর। তাঁদের মতে এটাই পেশাদারিত্ব। নিজের কাজটাই মন দিয়ে করে যাওয়া। সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বে টিমওয়ার্কের হয়তো সুবিধা হয়। কিন্তু কেউ যদি নিজের মতো করে মন দিয়ে কাজ করে যান, তাহলে তাঁকে বাধা দেওয়ার মানেই হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.