Advertisement
Advertisement
Basirhat

‘সংসার করার ইচ্ছাই নেই’, স্ত্রী বিরহে কাতর যুবককে বাপেরবাড়ি থেকে শর্ত দিলেন যুবতী

উপায় না দেখে স্ত্রীকে ফেরাতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ধরনায় ওই যুবক।

Young man holds dharna in front of police station to get his wife back in Basirhat

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 23, 2025 6:29 pm
  • Updated:June 23, 2025 6:29 pm  

গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়িতে গিয়েছিলেন তরুণী। পরে তিনি আর স্বামীর ঘরে ফিরতে চাইছে না! অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। স্ত্রীকে আনতে গেলে তাঁকেও উত্তমমধ্যম দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উপায় না দেখে স্ত্রীকে ফেরাতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ধরনায় বসলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে। ঘটনা জানাজানি হতে স্থানীয়দের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।

হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর রায় পাড়ার বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মণ্ডল। বেশ কয়েক বছর আগে এলাকারই বাসিন্দা মৈত্রী মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। অভিযোগ, বাপেরবাড়ি যাওয়ার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না সিদ্ধার্থ। অভিযোগ, ২০ জুন মৈত্রী বাপেরবাড়ি গিয়েছেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই। অভিযোগ, তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন মেয়েকে ছাড়ছে না। স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাইকে মারধর করে বার করে দিয়েছে। কিন্তু স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া ওই যুবক।

Young man holds dharna in front of police station to get his wife back in Basirhat
পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ধরনায় যুবক। নিজস্ব চিত্র

সেজন্য পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সার্টিফিকেট নিয়ে ধরনায় বসলেন ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীকে ওই বাড়ি থেকে আনতে গেলে বড় ভায়রা ভাই গৌতম মণ্ডল, শ্বশুর গৌরাঙ্গ সিনহা-সহ অন্যান্যরা তাঁকে মারধর করেছেন। সিদ্ধার্থ বলেন, “আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সার্টিফিকেট রয়েছে। আমি স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চাই।” এদিকে মৈত্রী সিনহা মণ্ডল বলেন, ” আমার স্বামী আমাকে ভালবাসে না। তাহলে কেন আমি তাকে ভালবাসতে যাব? তাঁর বাবারবাড়ি থাকলে হবে না। আমার বাড়িতে এসে ওকে থাকতে হবে। তবেই আমি ওঁর সঙ্গে সংসার করব। না হলে আমার সংসার করার কোনও ইচ্ছাই নেই।”

সাহেবখালি পুলিশ ক্যাম্পের সামনে ওই যুবক ধরনায় বসে থাকেন। এরপর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে সিদ্ধার্থের শ্বশুরবাড়িতে যায়। দেখা যায় ওই বাড়ি তালাবন্ধ রয়েছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement