৪১ বছর, ১৭টি সংস্করণের পর অবশেষে প্রথমবার এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। চলতি এশিয়া কাপে তৃতীয়বার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
আগের দু’ম্যাচেই ভারতের কাছে একপেশেভাবে পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ফাইনালে উঠেই পাক শিবির রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়ছে। এবার নাকি তাঁরা বদলা নিতে প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক অতীতে ফর্মের বিচারে পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। তবে অতীতের বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালগুলির নিরিখে কিন্তু এগিয়ে পাকিস্তান।
এর আগে পাঁচবার বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছে ভারত ও পাকিস্তান। এর মধ্যে ৩ বার জিতেছে পাকিস্তান। ২ বার জয় এসেছে ভারতের ঝুলিতে। রবিবার সূর্যকুমার যাদবদের কাছে সুযোগ থাকছে এই রেকর্ডে সমতা ফেরানোর।
ভারত ও পাকিস্তান প্রথমবার বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল ১৯৮৪ সালে। বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ ক্রিকেটের ফাইনালে সেবার ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে রবি শাস্ত্রী ৬৩ রান এবং কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
১৯৮৬ সালে অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচেই জাভেদ মিয়াঁদাদের ঐতিহাসিক ছক্কায় জয় পায় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৭ উইকেটে ২৪৫ রান তোলে। গাভাসকর ৯২ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে চেতন শর্মাকে ছক্কা হাঁকিয়ে মিয়াঁদাদ জিতিয়ে দেন পাকিস্তানকে।
১৯৯৪ সালের অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেই ম্যাচে ভারতকে ৩৯ রানের ব্যবধানে অনায়াসে জিতে নেয় পাক দল।
এরপর ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের দুদেশ মুখোমুখি। গৌতম গম্ভীরের ৫৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ১৫৭ রান। জবাবে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৫২ রানে। যোগিন্দর শর্মার শেষ বলে স্কুপ করতে গিয়ে আউট হন মিসবা। সেটাকেই ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনি যুগের সূচনার অন্যতম মাইলফলক বলা যায়।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আবার ভারত একপেশেভাবে হারে। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে। জবাবে মাত্র ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। ১৮০ রানে হারে মেন ইন ব্লু।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.