Advertisement
Advertisement
thyroid

থাইরয়েডের সমস্যায় জেরবার? ভুলেও ছোঁবেন না এই খাবারগুলি

থাইরয়েডকে বাগে আনতে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।

থাইরয়েডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। গলার কাছে ছোট্ট প্রজাপতির মতো দেখতে এই গ্রন্থি। শরীরের বিপাক, বৃদ্ধি, ও বিকাশে এই গ্রন্থির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া এই গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত হরমোন বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে সাহায্য করে।

কোনও কারনে যদি থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন ক্ষরণ করে তাহলে 'হাইপারথাইরয়েডিজম' দেখা দেয়। আবার প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্ষরণে দেখা দেয় 'হাইপোথাইরয়েডিজম'। এই দুই ক্ষেত্রেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

থাইরয়েড গ্রন্থির অতিক্ষরণ বা কম ক্ষরণে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন রোগী। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল ঝরে পড়া, হৃদস্পন্দনের মাত্রা কমে যাওয়া, শরীরে ক্লান্তি, বিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।

থাইরয়েডের এই সমস্যা নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে শুধু ওষুধ নয়, পুষ্টিবিদদের মতে কিছু খাবার এড়িয়ে চললে মিলবে উপকার। থাইরয়েড থাকলে কী কী খাবেন না? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

থাইরয়েড রোগ থাকলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি এবং সয়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এই সমস্ত সবজি 'গয়ট্রোজেন' সমৃদ্ধ, যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনকে প্রভাবিত করে।

সয়াবিন থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনকে ব্যাহত করে। সয়াজাত খাবার একদমই খাওয়া উচিত নয়। এতে থাইরয়েডের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকী থাইরয়েডের ওষুধের সঙ্গে এই খাবার খেলে হিতে বিপরীতও ঘটতে পারে। তাই, সয়াজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

ফাস্ট ফুড ও প্যাকেটজাত খবার একদম নয়। প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি নুন ও চিনি থাকে। এছাড়াও এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

থাইরয়েডের সমস্যায় আটা-ময়দা কিংবা এসব থেকে তৈরি সব ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। এই খাবারগুলিতে রয়েছে গ্লুটেন। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজে বাধা তৈরি করে গ্লুটেন। ফলে এই জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। সাদা ভাত, ময়দার রুটি, শুকনো ফল, পাকা কলা প্রভৃতি এড়িয়ে চলুন।