আজ চতুর্থী। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। উৎসবে বৃষ্টি বাধ সাধলেও ঠাকুর দেখায় কোথাও খামতি নেই বাঙালির। ছাতা মাথায় দিয়েই চলছে প্যান্ডেল হপিং! এদিনও শহর এবং জেলার একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উৎসবের শুভেচ্ছাবার্তার পাশাপাশি শান্তি এবং সম্প্রীতির কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। ফের একবার বাংলা ভাষার অস্মিতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রথমে ভারচুয়াল মাধ্যমে জেলার একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আলিপুর বডিগার্ড লাইনস আবাসিকের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। পুজো প্রাঙ্গনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিন আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়, মুনমুন সেন-সহ আরও বহু তারকা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে গান গাইতে দেখা যায় আরতি মুখোপাধ্যায়কে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন সুরুচি সংঘের পুজো উদ্বোধনে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো বলেই বিখ্যাত এই পুজো। এবার সুরুচি সংঘের থিম 'আহূতি'। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ করেই তৈরি পুজো মণ্ডপ। শুধু তাই নয়, এবারও আলিপুর সুরুচি সংঘের থিম সং লেখা এবং সুর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি চামর হাতে মায়ের আরতি করতেও দেখা যায় তাঁকে।
পুজোর উদ্বোধনের পরেই লাল চক হাতে মণ্ডপে 'বন্দেমাতরম' লিখে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদানের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ''বাংলা না থাকলে স্বাধীনতা আন্দোলন হত না। হত না নবজাগরণ।'' এমনকী নারী শিক্ষা, সতীদাহ প্রথা বন্ধ, বাল্যবিবাহ রোধে বাংলার মনীষীদের অবদান কতটাও তাও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রত্যেক বছর পুজোর সময় নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী। এবারও অন্যথা হল না। চতুর্থীর সন্ধ্যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান তিনি।
নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমের পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি সেখানকার মানুষদের সঙ্গে গানে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লেখা গান গেয়ে শোনান ইন্দ্রনীল সেন। পাশাপাশি সেখানকার আবাসিকদের পাশে থাকারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.