Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2025

ক্ষুধার ধারাবৃত্ত থেকে জোকারের যন্ত্রণাগাথা! দেখে নিন বেহালার নানা পুজোর ঝলক

পুজো মণ্ডপে ভিড় দর্শনার্থীদের।

১০

পুজোর ঢাকে কাঠি। চতুর্থীর সকাল থেকেই বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। অনেক মণ্ডপই খুলে দেওয়া হয়েছে। বেহালার বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম নাম বড়িশা ক্লাব। এবারে বড়িশা ক্লাবের পুজো মণ্ডপের থিম শূন্য পৃথিবী। শিল্পী মানস দাসের ভাবনায় ফুটে উঠেছে এই কর্মকাণ্ড। বেশ কয়েক বছর হল সার্কাস দেখার সেই ঝোঁক আর মানুষের মধ্যে পাওয়া যায় না। শীতের ময়শুমে তাবু পড়লে গুটিকয়েক দর্শক সার্কাস দেখতে যান। নিজস্ব চিত্র

১০

বহু সার্কাসের অনেক কর্মীই জীবনযুদ্ধে বাঁচতে পেশা বদল করেছেন। তবে সার্কাসের অন্যতম আকর্ষণ জোকাররা এখনও রয়ে গিয়েছেন। আর রয়েছে তাঁদের করুণ কাহিনি। সেই কাহিনিই এবার বর্ণিত হয়েছে বড়িশা ক্লাবের পুজো মণ্ডপে। এই মণ্ডপে জোকারদের লাইভ পারফরম্যান্সও দেখা যাবে। নিজস্ব চিত্র

১০

বেহালার নজরকাড়া পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল বেহালা দেবদারু ফটকের পুজো। এবছরও পুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমায় থিমের ছোঁয়া। এবারের থিমের নাম '১০ ফুট বাই ১০ ফুট'। শিল্পী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃজনশীলতায় প্রাণ পেয়েছে এই ভাবনা। নিজস্ব চিত্র

১০

ব্যস্ততা ক্রমশ ঘিরে ধরেছে মানুষজনকে। পাশাপাশি মানুষের জীবন আরও সংকুচিত হয়েছে। ১০ ফুট বাই ১০ ফুটের একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়েছে মানুষের জীবন। এবারের থিম মানুষের মনে দাগ কাটবে বলেই মনে করছেন শিল্পী ও পুজো উদ্যোক্তারা। নিজস্ব চিত্র

১০

বেহালা ফ্রেন্ডস-এর পুজোও এবার নজর কেড়েছে। এবার এই পুজোর থিম নবান্ন। এখানে দেবীর মাতৃরূপ। শিল্পী প্রদীপ দাস। ‘আজ পুজোতে আলো জ্বলে, কিন্তু ক্ষুধার অন্ধকার ভুলে যাওয়া যায় না।’ এভাবেই সমকালীন অথবা চিরকালীন এক অন্ধকার মিশে গিয়েছে ‘বেহালা ফ্রেন্ডস’-এর হীরকজয়ন্তীর বর্ষের পুজো ভাবনায়। নিজস্ব চিত্র

১০

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যে মন্বন্তর হয়েছিল বাংলায়, তার ছবি ধরা আছে বিজন ভট্টাচার্যের ‘নবান্ন’ নাটকে। এই পুজো মণ্ডপের ভাবনায় ফুটে উঠেছে ক্ষুধার যন্ত্রণা। আরবি ভাষার একটি কবিতা দর্শনার্থীরা শুনতে পাবেন মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করলেই। দেখতে পাবেন কবিতাটির বাংলা তর্জমাও। যা থাকবে মণ্ডপের ভিতরে। নিজস্ব চিত্র

১০

বেহালা নূতন দলের পুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষজন। এবার এই পুজোর থিম শিবানী ধাম। শিল্পী রণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরানার জলছাপ এবারও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কাজে। নিজস্ব চিত্র

১০

প্রতিবারই শিল্পী তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে একটি গল্প বলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মধ্যপ্রদেশের এক রাজা এসে একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন। নাম দেওয়া হয়েছিল শিবানী ধাম। সেই মন্দিরই এবার বেহালা নূতন দলের মণ্ডপে ফুটে উঠেছে। নিজস্ব চিত্র

১০

ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সার্বজনীনের পুজোও কলকাতার অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে পড়ে। এবারও থিমের ভাবনাতেই মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি হয়েছে। এবার ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সার্বজনীনের থিম মোগলমারি। শিল্পী রাজু সরকারের ভাবনায় ফুটে উঠেছে এই কাজ। নিজস্ব চিত্র

১০ ১০

পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারী এলাকায় বৌদ্ধদের একাধিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। অতীতে ওই এলাকায় বৌদ্ধদের বাস ছিল। ইতিহাস সেই সাক্ষ্যবহন করছে, ওইসব নিদর্শন পাওয়ার মধ্যে দিয়ে। ওই এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র তৈরির মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা ও অর্থনৈতিক উন্নতির কথাও বলা হচ্ছে। থিমের মাধ্যমে সেই ইতিহাসের বার্তা দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র