মিশরীয় সভ্যতা বসিরহাটে! সেখানকার ঐতিহ্যবাহী ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় গেলে দেখা যাবে এমনই দৃশ্য। পুজোর দিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে সেখানে। এমনই মত উদ্যোক্তাদের। ছবি: গোবিন্দ রায়
কেবল মিশরীয় সভ্যতার দুর্গাপুজো নয়, একই চত্বরে থাকছে মহিষাদলের রাজবাড়ির অনুকরণে সাবেকি মণ্ডপ। অপরদিকে ঘোষবাড়ির তিনশো বছরের পুরনো বনেদি বাড়ির পুজো। অর্থাৎ একই চত্বরে তিনটি আলাদা দুর্গাপুজোর আসর বসতে চলেছে এই ঘোষবাড়িতে। ছবি: গোবিন্দ রায়
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের টাকি রোড পার্শ্বস্ত বিশাল এলাকাজুড়ে চলতি বছর দর্শকদের কাছে এক অভিনব মোড়কে আসছে ঘোষবাড়ির পুজো। এমনিতেই সারা বছর ধরে একাধিক অনুষ্ঠান-সহ সমাজসেবামূলক কাজ করে চলে ঘোষবাড়ি। কিন্তু এই বছরের পুজোর ভাবনা একেবারে অন্য। দীর্ঘ ছয় মাসের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে দুটি পুজো মণ্ডপ। পাশাপাশি একটি পুরনো ঠাকুর দালানকে সংস্কারের কাজও হয়েছে। ছবি: গোবিন্দ রায়
ঘোষবাড়িতে ঢুকলেই দেখা যাবে মহিষাদলের রাজবাড়ি। প্লাই, লোহা ও রং-এর ব্যবহার করে একেবারে হুবহু মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ। আরেকটু এগোলোই ৩০০ বছরের পুরনো ঘোষবাড়ির নিজস্ব বনেদি পুজো। আর দু'পা হাঁটলেই থাকছে বিশেষ চমক। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে মিশরীয় সভ্যতাকে। ছবি: গোবিন্দ রায়
পিরামিড, বালির মরুভূমি, তুতেনখামেন, মমি ও ক্লিওপেট্রা-সহ মিশরীয় সভ্যতার দেখা মিলবে সেই মণ্ডপে। জানা গিয়েছে, মিশরের বিভিন্ন পিরামিড থেকে বেশ কিছু ছবি এবং ভাস্কর্য উদ্ধার করেছিলেন পুরাতত্ত্ববিদরা। তাতে ছিল দুর্গাপ্রতিমার আদল। ছবি: গোবিন্দ রায়
আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে যখন মিশরীয় সভ্যতার রমরমা, তখনও পূজিত হতেন উমা। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলেই মনে হবে যেন পিরামিডের ভিতরে ঢুকেছেন। সেখানে একদিকে যেমন থাকছে মিশরীয়দের ব্যবহৃত সোনার অলংকার রাখার বাক্স, হায়রোগ্লিফ হরফ ও বিভিন্ন পশুপাখি পূজ্য দেবদেবীদের ছবি। ছবি: গোবিন্দ রায়
এই ঘোষবাড়ি চত্বরেই আবার থাকছে আলোর রোশনাই, ফোয়ারা ও রেস্তরাঁ। অর্থাৎ একবার ঘোষবাড়িতে ঢুকলেই সম্পূর্ণ পুজো দেখার স্বাদ নিতে পারবেন আগত দর্শক থেকে শুরু করে পর্যটকরা। ছবি: গোবিন্দ রায়
ঘোষবাড়ির সদস্য উদ্যোক্তা লাল্টু ঘোষ বলেন, 'আমাদের সভ্যতাকে পুনরায় মানুষের মধ্যে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে তৎপর। মিশরীয় আমলেও যে দুর্গাপুজো হত, তার প্রমাণ ইতিমধ্যে পেয়েছি। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে থিম মিশরীয় সভ্যতার দুর্গাপুজো। দীর্ঘ ৬ মাসের চেষ্টায় বসিরহাটের মানুষকে কিছু নতুন জিনিস উপহার দিতে চাই।' ছবি: গোবিন্দ রায়
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.