Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2025

পুজোয় পাহাড়-সমুদ্রে যেতে পারছেন না? কলকাতার কাছেই রয়েছে ৫ ‘হট ডেস্টিনেশন’

এক-দু' দিনের জন্য সদলবলে ঘুরে আসুন। খানাপিনা সহযোগে আড্ডা জমবেই!

১১

পুজোয় পাহাড়ে যাওয়ার প্ল্যান কষেছিলেন, কিন্তু বুকিং পাননি? কিংবা যে কোনও কারণে সেই বুকিং ক্যানসেল করতে হয়েছে? মন খারাপের কিছু নেই। কলকাতার কাছেই রয়েছে বেশ কিছু গন্তব্য যেখানে গিয়ে নিশ্চিন্তে এক দু' দিন কাটিয়ে আসতে পারেন। আর আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাহলে তো কথাই নেই। যেসমস্ত রিসর্টে 'কিং সাইজ' লাইফস্টাইল দেখিয়ে মনের সুখে চুটিয়ে ছবি তুলতে পারবেন, সেরকমই ৫ 'হট ডেস্টিনেশন' -এর হদিশ রইল আপনাদের জন্য।

১১

নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে জায়গাগুলির নাম? যে ৫টি জায়গার নাম বলব সেখানে চারদিকে চোখ ফেরালেই ছবি তোলার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। বোলপুরের আনন্দ রিসর্টও এক্ষেত্রে দারুণ অপশন হতে পারে। এটি শান্তিনিকেতনে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল হোটেল।

১১

গ্রিসের সান্তোরিনির আদলে তৈরি এই রিসর্টে শুধুই নীল-সাদার ছোঁয়া। তারমাঝে রিসর্টের পথে ইতিউতি ছড়িয়ে বোগেনভেলিয়া গাছ। যা এই জায়গাটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। পুলসাইডের রোদস্নান থেকে ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক, পঞ্চব্যাঞ্জনে ভুরিভোজ, সবরকম ব্যবস্থাপনাই রয়েছে এই রিসর্টে। খরচও সাধ্যের মধ্যেই।

১১

কলকাতা থেকে মাত্র আধ ঘণ্টা, ৪৫ মিনিটের দূরত্বে হাওড়ার পাঁচলায় রয়েছে আরেক বিলাসবহুল আশ্রয়ের সন্ধান। নিরিবিলিতে ১ দিনে জন্য কান্ট্রি রোডস রিসর্টে কাটিয়েই আসতে পারেন। সুইমিং পুলে বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সঙ্গে জলকেলি করার সুযোগ ছাড়াও এই হোটেলের অন্যতম ইউএসপি আতিথেয়তা। ঠিক ততোধিক সুন্দর হোটেলের রুমের সাজসজ্জা।

১১

কলকাতা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে! মাত্র ২৬ কিমি দূরে। ধর্মতলা থেকে বাসও পেয়ে যাবেন। কিংবা সদলবলে গেলে গাড়ি নিয়েই চলে যান। সুইমিং পুলের নীল জল কিংবা পুল লাগোয়া এড়িয়ার পাশাপাশি গোটা রিসর্টের সাজসজ্জা আপনাকে মুগ্ধ করবে। বাঙালি থেকে চাইনিজ খানাপিনার বন্দোবস্তও দারুণ। তবে এক্ষেত্রে পকেট ভারী থাকা আবশ্যক।

১১

শহরের কোলাহল, কংক্রিটের বন্দিদশা আর যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চান? গাঢ় সবুজের মাঝে বুনো পাখির কলতান উপভোগ করতে চান? তাহলে ঘুরে আসুন বর্ধমানের কেতুগ্রামের বেলুন গ্রামে।

১১

প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের মেলবন্ধনে যেখানে গড়ে উঠেছে এক অপূর্ব ইকো রিসর্ট 'জলবাড়ি'। শিবাই নদীর তীরে প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র একাধারে বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়, আবার প্রকৃতিপ্রেমী ও পর্যটকদের জন্যও এক অনন্য স্বর্গরাজ্য।

১১

কথাতেই আছে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে! রায়চক এফ ফোর্ট রিসর্টের কথা হয়তো অনেকেই অনেকবার গিয়েছেন। কিন্তু ফটো তোলার ক্ষেত্রে এই রিসর্টের সাজসজ্জা কিংবা আশাপাশের জায়গাগুলোকে কতটা ব্যবহার করতে পেরেছেন? কলকাতার কোলাহল থেকে এ যেন ‘নিশ্চিন্তিপুরের’ গ্রাম। ক্যামেরার কেতবাজি দেখিয়ে এখানেও দিব্যি ভালো ভালো ফ্রেম পেয়ে যেতে পারেন।

১১

শান্ত নিরিবিলি এই রিসর্টের পরিবেশে আপনি মন চাঙ্গা করার পাশাপাশি প্রচুর ছবিও তুলতে পারবেন। কলকাতা থেকে মাত্র ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেই পারেন। ফোর্টের লালচে হেরিটেজ প্যাটার্ন কিংবা বাঁশের সাঁকো ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে নেহাত মন্দ হবে না।

১০ ১১

সুন্দরবন টাইগার ক্যাম্প আরেকটা ডেস্টিনেশন। বাঘ দেখার শখপূরণের পাশাপাশি প্রকৃতির কোলে ছবি তোলাও হবে। কলকাতা থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরত্বে গাড়ি নিয়েই বেরিয়ে পড়তে পারেন।

১১ ১১

কে বলতে পারে, কপালজোড়ে এখানেই হয়তো দক্ষিণরায়ের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য পুজোর ছুটিতে দিন দুয়েক কাটানোর সবথেকে ভালো অপশন। রিসর্টের প্রবেশপথেই যে বসার জায়গা রয়েছে, সেখান থেকে যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু জল আর পাড়ে গা ঘেঁষে থাকা ম্যানগ্রোভের জঙ্গল।