Advertisement
Advertisement
Health Tips

পাওয়ার বাড়বে না, ছানিও এড়ানো সম্ভব! চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলি খান

নিয়ম মেনে প্রতিদিন পাতে রাখুন এই খাবার।

চোখের সমস্যা সাধারণের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে। এমনকী অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের প্রভাব পড়ছে শিশুদের মধ্যেও। এই জেনারেশনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটে মোবাইল ও ল্যাপটপে। অফিসের কাজ হোক বা ব্যক্তিগত বিনোদন। মোবাইলেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। কাজেই চোখ সইবে কেন?

অনেক সময় বয়সজনিত কারণে চোখের প্রোটিন ভেঙে একসাথে জমাট বেঁধে যায়। এই অবস্থাকে আমরা ছানি বলে থাকি। চিকিৎসায় তা নিরাময় সম্ভব। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতায় পাওয়ার বাড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

আগে থাকতে সচেতন হলে এই সমস্যাগুলি সহজেই এড়ানো যায়। তাছাড়া যদি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান আগে থেকেই পাওয়া যায়, তাহলে চোখ থাকবে ভালো। ছানি হোক বা চোখের ঝাপসা দৃষ্টি, কোনকিছুই সহজে কাবু করতে পারবে না আপনাকে। তাই, চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন খাবার পাতে রাখুন এই খাবারগুলি।

সুর্যমুখীর তেল, বাদাম, হেজেলনাট, পাইন বাদাম প্রভৃতিতে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি চোখের কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়, এমনকী চোখের শুষ্কতা কমাতেও এটি সাহায্য করে।

মটরশুঁটি, ডাল ও অন্যান্য লেবু জাতীয় খাবার জিঙ্কের ভালো উৎস। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাংস প্রভৃতিতেও জিঙ্ক পাওয়া যায়। জিঙ্ক হল এমন একটি অপরিহার্য খনিজ, যা রেটিনা এবং চোখের অন্যান্য অংশের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে। তাই, খাবার পাতে এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

মিষ্টি আলু, কুমড়ো, গাজর প্রভৃতিতে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এগুলি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি চোখের বাইরের স্তরকে রক্ষা করে। কম আলোতে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। রোডোপসিন নামক প্রোটিন তৈরিতে অপরিহার্য উপাদান ভিটামিন এ। কম আলোতে দেখার জন্য এই প্রোটিন প্রয়োজন পড়ে।

চিয়া বীজ, আখরোট, তিসির বীজ প্রভৃতিতে পর্যপ্ত পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যসিড থাকে। এটি চোখের টিয়ার ফিল্মের প্রয়োজনীয় তেল তৈরিকারী গ্রন্থিগুলিকে সুস্থ রাখে। ফলে চোখের শুষ্কতা বা চোখ ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা কমে।

ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন সাইট্রাস ফল, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি কোলাজেন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। কর্নিয়া ও স্ক্লেরার মতো চোখের অংশগুলোকে সুস্থ রাখে। ছানি ও বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে।

পালং শাক, ভুট্টা, ডিমের কুসুম প্রভৃতিতে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন। এগুলি রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো এবং অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে। বয়সজনিত চোখের রোগ, যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়।