যুবসমাজ, জেন Z ও আমজনতার বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে লাদাখ। স্থানীয়দের প্রতিবাদে জ্বলল বিজেপির পার্টি অফিস। আগুন পুলিশ ভ্যানে। ছোড়া হল পাথরও। ছবি: পিটিআই।
লাদাখের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তি, পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন, একটির বদলে দুটি লোকসভা কেন্দ্র গড়ার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চলছে লাদাখে। ছবি: পিটিআই।
নীতি নির্ধারণে স্থানীয়দের গুরুত্ব না দেওয়াটাও স্থানীয়দের অন্যতম অভিযোগ। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবেশবান্ধব নীতি প্রণয়ণের দাবি। লাদাখবাসীর বক্তব্য, পর্যটনকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
২০১৯-এ কাশ্মীরের সঙ্গেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয় লাদাখ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারপর থেকে লাদাখ প্রশাসনে গুরুত্বহীন স্থানীয়রাই। নিয়ন্ত্রণহীন পর্যটন, ভ্রান্ত নীতিতে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
চিনা আগ্রাসন, জনবিন্যাস বদলের মতো ইস্যুও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ। ছবি: পিটিআই।
এই আন্দোলনের কাণ্ডারি সোনম ওয়াংচুক। সঙ্গে স্থানীয় কিছু নাগরিক সংগঠন, লেহ অ্যাপেক্স বডি (LAB), কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (KDA) এর নেপথ্যে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন রয়েছে বিক্ষোভে। সঙ্গী বিজেপির স্থানীয় নেতারাও। ছবি: পিটিআই।
লাদাখবাসীর দাবি নিয়ে দফায় দফায় অনশন করেছেন সোনম ওয়াংচুক। একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও কাজের কাজ হয়নি। ছবি: পিটিআই।
বাধ্য হয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ফের অনশনে বসেন ওয়াংচুক। অনশন ১৫ দিনে পড়তেই সহিংস বিক্ষোভ যুব সমাজের একাংশ। ছবি: পিটিআই।
বুধবার লাদাখ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। সেই ধর্মঘট সফল করতে এদিন সকাল থেকে লেহ’র রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন শয়ে শয়ে মানুষ। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে বিক্ষোভ সহিংস রুপ নেয়। কাশ্মীরে একসময় যে ছবি স্বাভাবিক ছিল, সেই পাথর ছোড়ার চেনা ছবি বুধবার দেখা গেল লাদাখের রাস্তায়। ছবি: পিটিআই।
হিংসা ছড়িয়ে পড়তেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনম। গান্ধীজির মতো তিনিও অহিংসায় বিশ্বাসী। যুব সমাজকে হিংসা ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসার ডাক দিয়েছেন তিনি। ছবি: পিটিআই।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.