চলতি মরশুমে অনেক আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে দেশ। রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রয়েছে অক্ষরেখা। তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। তার জেরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে।
এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড বৃষ্টি হল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ২২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীতে জল বেড়েছে।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল জমেছে আলিপুরদুয়ার শহরের নিঁচু এলাকাগুলিতে। যার জেরে প্রবল সমস্যায় সাধারণ মানুষ। লাগাতার বৃষ্টি হলে আরও দুর্ভোগ বাড়বে মত সাধারণের।
আলিপুরদুয়ারের বিজি রোড এলাকা জলমগ্ন। রাস্তাতে হাঁটুর উপর জল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন রাত ১২ টায় এলাকায় জল ঢোকে। এখনো গোটা এলাকা জলমগ্ন সমস্যায় সাধারন মানুষ।
প্রবল বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ার জংশনে অফিসার্স কলোনিতে শতবর্ষ পুরনো গাছ ভেঙে পড়ে। তাতে বিপত্তি আরও বাড়ে। অল্পের জন্য এক ব্যক্তি প্রাণে বেঁচেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতেও বৃষ্টি হয়েছে। বুধে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সতর্কতা। বৃহস্পতিবারে ও দার্জিলিং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ঘাটালে বন্যা। ডিভিসির জল ছাড়ায় এই অনেক এলাকা ভেসে যায়। লাগাতার বৃষ্টি তো লেগেই আছেই।
ঘাটাল, চন্দ্রকোনা ১ ও চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের অনেক এলাকা জলের তলায়। খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির। পরিস্থিতি ধীর গতিতে স্বাভাবিক হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বৃষ্টি হলেও কলকাতার আকাশে শরতের মেঘ। আজ, মঙ্গলবার রোদ ঝলমলে আকাশ দেখেছে কলকাতাবাসী।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.