Advertisement
Advertisement
Nabadwip

জামাইরূপী চৈতন্যদেবের বিশেষ পুজো জামাইষষ্ঠীতে! নবদ্বীপে ভক্তের ঢল

জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে এই বিপুল আয়োজন করা হয়েছিল।

Chaitanyadev worshipped in Jamai Shasthi, huge devotees gathered Nabadwip

সাজানো হয়েছে মহাপ্রভুকে। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 1, 2025 6:19 pm
  • Updated:June 1, 2025 6:19 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে সাজানো হয়েছে জামাই সাজে। আপ্যায়ণে ত্রুটি পর্যন্ত রাখা হয়নি। ভোগেও একাধিক পদ। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই রূপে সাজানো হয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে। আর এই বিশেষ দিনে নবদ্বীপের মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে। মহাপ্রভুকে একটি বার দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ভক্তকূল। বছরের ৩৬৪ দিন একরকম থাকলেও এদিন অন্যভাবে সাজানো হয় চৈতন্যদেবকে।

বিগত বছরের মতো এবারও নদিয়ার নবদ্বীপের বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী সেবিত শ্রীশ্রী ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে শ্রীমন মহাপ্রভুকে জামাইরূপে সাজিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন ভক্তরা। সনাতন মিশ্রের এক কন্যা বিষ্ণুপ্রিয়া এবং মাধবাচার্য ও যাদবাচার্য নামে তিন সন্তান ছিল। যাদবাচার্যকে ছোট সন্তান হিসাবে দত্তক নিয়েছিলেন। সেই যাদবাচার্যের বর্তমান বংশধরদের ১৩ তম পুরুষ রূপ গোস্বামীর পরিবারের লোকজন এবারও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে জামাই বরণ করে তার জামাইষষ্ঠী পালন করেছেন।

এদিন সকালে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ঘুম ভাঙার পর জল-মিষ্টি সহযোগে প্রাত:রাশ দেওয়া হয়। এরপর চিড়ে, দই মিষ্টি দেওয়া হয়। দুপুরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পছন্দসই খাবার মোচার ঘন্ট, কচুর শাক, পাঁচ রকমের ভাজা, টক ডাল, ছানার ডালনা, পুষ্পান্ন, চারটি দই-মিষ্টি সহযোগে দেওয়া হয়েছে ভোগ। এরপর কিছু সময়ের বিশ্রাম। বিকেলের পর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে ফের জল, মিষ্টি দেওয়া। এরপর রাতে লুচি, সুজি, পায়েস, মিষ্টি, ক্ষীর সহযোগে দেওয়া হয়েছে ভোগ। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে এই বিপুল আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুরে তাঁকে পরানো হয় জামাইয়ের নতুন পোশাক।

মহিলারা তালপাতার পাখা দিয়ে এদিন মহাপ্রভুকে বাতাস করেছেন। গোটা দিন ধরেই মন্দিরে ছিল জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। এবারে একাধিক বৈষ্ণব ভক্ত হাজির হয়েছিলেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে। মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছে, মহাপ্রভুর দীক্ষাগ্রহণের পর সন্ন্যাস নেওয়ার আগে স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সন্ন্যাসের অনুমতি দেওয়ার জন্য। অনুমতি নিয়ে নিজের পাদুকা রেখে গৃহত্যাগী হয়েছিলেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। সেই পাদুকা বাপেরবাড়িতে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে সেবা করা শুরু করেন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী। বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাইয়ের পরিবারের ১৩ তম পুরুষ রূপ গোস্বামী বলেন, “বছরের ৩৬৪ দিন মহাপ্রভু ভক্তদের দেবতা। মাত্র একটি দিন তিনি জামাই। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পরিবারের সদস্য হওয়ায় আমরা গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে এদিন জামাই রূপে বরণ করে আদর আপ্যায়ণ করে থাকি। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু এদিন আমাদের পরিবারের জামাই।”

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement