সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় ভূত চতুর্দশী। পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এটি ‘নরক চতুর্দশী’ নামে পরিচিত। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এ দিন কৃষ্ণ ও সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করেছিলেন। বিশেষ এই দিনটিতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার নিধান দেওয়া হয়েছে শাস্ত্রে। চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালিয়ে আমাদের চোদ্দো পুরুষকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রথা রয়েছে। একই সঙ্গে চোদ্দো শাক খেয়ে দেহকে শুদ্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবে, যেনতেন ভাবে তা করলেই হল না। মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। সংসারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতিতে কীভাবে পালন করবেন ভূত চতুর্দশী?
এই দিন নিয়ম মেনে চোদ্দো শাক খান। দেহকে শুদ্ধ রাখা যেমন প্রয়োজন। ঠিক তেমনই প্রচলিত বিশ্বাস মতে, এদিন প্রেতলোক থেকে সমস্ত ভূত-প্রেত নেমে আসে মর্ত্যে। মনে করা হয় চোদ্দো শাক খেলে পূর্বপুরুষদের আত্মাকে মুক্তি দেন যমরাজ। তাছাড়া বাড়ি থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি বিদায় হয় বলেও অনেকে মনে করে থাকেন।
চোদ্দো শাকের মতো এ দিন গৃহস্থ বাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় চোদ্দো প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে। তবে, বাড়ির ঠিক কোন জায়গায় প্রদীপ জ্বালতে হয় তা অনেকের ধারণা নেই। ঠাকুর ঘর ও তুলসী তলায় অবশ্যই প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজার দুপাশে দুটি প্রদীপ দিন। তাতে দুটো লবঙ্গ দেবেন। বাড়ির যেখানে যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালুন। এ ছাড়া ঘরের মূল দরজার মাঝে একটা মাটির প্রদীপ জ্বালুন। প্রদীপে সামান্য গুড় দিতে ভুলবেন না যেন। সৌভাগ্য বৃদ্ধির জন্য বাড়ির দক্ষিনে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালবেন।
এ দিন যমরাজের পুজো করলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়। এছাড়াও ভূত চতুর্দশীর দিন সকালবেলা একটা লাল কাপড়ে কিছুটা নুন ও কালো সর্ষে নিয়ে ঠাকুরের স্থানে রেখে দিন। সন্ধ্যাবেলা সেই নুন ও সর্ষে ছিটিয়ে দিন বাড়ির চারকোণে।
বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি দূর করতে অবশ্যই এদিন ধুনো দিন। তবে শুধু ধুনো দিলে হবে না। ধুনোর মধ্যে দিতে হবে সৈন্ধব লবন, নিমপাতা, কালো সর্ষে, লবঙ্গ এবং কর্পূর।
সর্বোপরি এদিন বাড়ি আলোতে ভরিয়ে রাখুন। বাড়ির কোনও অংশ অন্ধকার করে রাখবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.