কৌশিকী অমাবস্যায় বড়মার মন্দিরে রেকর্ড ভিড়। নিজস্ব ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভক্তের ভক্তিই আসল! সেই ভক্তিতে তুষ্ট না হয়ে দেবদেবীরও উপায় নেই বোধহয়। কৌশিকী অমাবস্যায় সেই ছবিই দেখাল নৈহাটির বড়মার মন্দির। কৌশিকী অমাবস্যায় বড়মার আশীর্বাদ পেতে উপচে পড়ল রেকর্ড ভিড়। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, অমাবস্যা চলাকালীন মন্দিরে এসে পুজো দিলেন প্রায় ৫০ হাজার ভক্ত। অনলাইনে পুজো জমা পড়ল কমবেশি পনেরো হাজার। ভোগ বিতরণ হল প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার।
শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হয় সকাল ১১টা ৫৫মিনিট থেকে। শেষ লগ্ন ছিল শনিবার বেলা ১১টা ২৪মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে ভিড় যেন উপচে পড়ল নৈহাটির এই মন্দিরে। বড়মার পুজো দিতে শুক্রবার মন্দির খোলার আগে থেকেই ভিড় শুরু হয়েছিল। অমাবস্যা ছাড়ার পরেও এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে পুজো দিয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। মুখ্যমন্ত্রী নামাঙ্কিত নৈহাটি বড়মা ফেরিঘাট পর্যন্ত ছাড়িয়ে গিয়েছিল পুজোর লাইন।
এ তো গেল সরাসরি পুজো দেওয়ার কথা। দূর থেকে দূরতম দেশেও অনলাইনে ভক্তদের পুজো দেওয়ার আগ্রহ ছিল দেখার মতো। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত আবেদন করার সময়সীমা ছিল। জানা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ ও ‘জয় বড়মা’ অ্যাপে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুজোর আবেদন পড়েছিল প্রায় ১৫হাজার। বড় কালীপূজার সমিতির তরফে জানা গিয়েছে বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইডেনের মতো দেশ থেকে কৌশিকী অমাবস্যার পুজো এসেছে। মন্দির কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় ২২ হাজার, শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার মানুষ মন্দিরে এসে পুজো দিয়েছেন। এছাড়াও দু’দিনে প্রায় ৪৫ হাজার ভক্তকে ভোগ বিতরণ করা হয়েছে। এত ভক্তসমাগমে স্বভাবতই আপ্লুত মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে কালীপুজোর সময় এত ভিড় দেখেছিল নৈহাটির বড়মার মন্দির। সেসময় বাইরের ভক্তদের সুবিধায় চালু হয়েছিল ‘জয় বড়মা’ অ্যাপটি। এখন এই অ্যাপের মাধ্যমে সারাবছরই দেশ-বিদেশের ভক্তরা বড়মার কাছে পুজো নিবেদন করতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.