সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি পুরুষ শ্রেষ্ঠ। তাঁর বীরত্বের কাহিনি শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হতে বাধ্য। শুধুমাত্র ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই শ্রীরামের পুজোর প্রচলন রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু দেশে রামের বিশালাকায় মূর্তিও রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, ‘রামনবমী’ শ্রীরামের জন্মতিথি। তাই এই দিন ভক্তিভরে শ্রীরামের পুজো করলে বিশেষ ফল মেলে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামের পুজো করলে তুষ্ট হন মহাদেবও।
এর নেপথ্যে রয়েছেন রামভক্ত শ্রী হনুমান। পবনপুত্র হনুমানের জন্মই হয়েছিল শ্রীরামের সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে। সারাজীবন রামকেই প্রভু হিসেবে মেনে এসেছেন তিনি। রামায়ণ পড়লেই হনুমানের প্রভুভক্তির কথা জানা যায়। এমনকি প্রচলিত কথাতেও আছে ‘রামভক্ত হনুমান’। খুবই বিশ্বস্ত কাউকে বোঝাতে এই বিশেষ বাগধারাটির ব্যবহার করা হয়। তা এই হনুমানই হলেন মহাদেবের অবতার। শিবপুরাণেই এই তথ্যের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। আসলে শ্রীবিষ্ণু যেমন বিভিন্ন অবতারে মর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, মহাদেবেরও তেমনই বেশ কিছু অবতার রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম শ্রী হনুমান। হনুমান স্বয়ং এ কথা বলেছিলেন যে, শ্রীরামের পুজো করাই মানেই তাঁর পুজো করা। বরং হনুমান তাঁর নিজের নামগান অপেক্ষা রামনামে অধিক প্রীত হন বলেই মনে করেন অনেকে।
অন্যদিকে রাম, স্বয়ং বিষ্ণু বা হরির অবতার। হরির সঙ্গে মিলিত ভাবে মহাদেবের এক মূর্তিও রয়েছে। যিনি হরি-হর নামে পূজিত হন। এই মূর্তিতে একইসঙ্গে মহাদেব ও শ্রী বিষ্ণুর পুজো করেন ভক্তরা। তাই এ কথা বলাই বাহুল্য যে, রামের পুজো করলে মহাদেবও সন্তুষ্ট হন। অন্যদিকে রামের সঙ্গেই পূজিত হন মা সীতা। তিনিও দেবী লক্ষ্মীর অংশ। তাই রামনাম করলে মাতা লক্ষ্মীও প্রীত হন। তবে যে কোনও পুজো করার আগেই স্মরণ করতে হয় পঞ্চদেবতা ও গুরুদেবকে। রামের পুজোর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। তাই এই পুজোর মাধ্যমে সমস্ত দেবগণের আশীর্বাদই পান ভক্তরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.