সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরাণ ও শাস্ত্রে দুর্গাপুজোর সাতটি ‘কল্প’র উল্লেখ রয়েছে। এই ‘কল্প’ বলতে বোঝায় কোন পদ্ধতিতে ও কীভাবে কতদিন ধরে দেবীকে পুজো করা হবে তার নিয়মাবলি। ষষ্ঠাদিকল্প অনুসারে আশ্বিনের শুক্ল পক্ষে ষষ্ঠীর দিনে দেবীর বোধন শুরু হয়। পুজো চলে মহানবমী পর্যন্ত। কিন্তু বাংলায় সমস্ত পুজোই যে এই কল্প মেনে করা হয় এমনটা নয়।
বোধনের মাধ্যমে দেবীকে নিদ্রা থেকে জাগানো হয়। কল্পারম্ভের মাধ্যমেই দেবীদুর্গার পূজার কাজ শুরু হয়। তিনি মর্ত্যে আগমন করেন। বোধনের পর মায়ের অধিবাস ও আমন্ত্রণ করা হয়, তারপরই শুরু হয় মূল পূজানুষ্ঠান।
কেমন সেই নিয়ম? শাস্ত্রে বলছে, বোধন ঘরে বেদির উপর টব-সহ ছোট বেলগাছ বসানো হয়। এরপর সেই বেলগাছের সামনে পঞ্চপল্লব ও ডাব দিয়ে ঘট স্থাপন করা হয়। পঞ্চপল্লব অর্থাৎ- আম, অশ্বত্থ, বট, পাকুড় এবং যজ্ঞডুমুর। ওই বেলগাছকেই দেবী কল্পনায় আরাধনা করা হয়।
বোধনের পুজোয় নৈবেদ্য দিতে হয় শিব, দুর্গা, নারায়ণ ও গৃহদেবতাকে। কলাপাতা বা পিতলের থালায় এক রেক চাল চূড়া করে সাজিয়ে নৈবেদ্য অর্পণ করতে হয়। তবে শিবের নৈবেদ্য পাথরের থালায় দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। থালায় উঁচু করে সাজানো চালের মাথায় থাকবে মণ্ডা। পাশে কলাপাতায় আলাদা করে পাঁচকলাই ও ফল দিয়ে নৈবেদ্য দিতে হবে। এর সঙ্গে দুধ, দই ও চিনির নৈবেদ্যও থাকে।
দুর্গাপুজোয় নৈবেদ্যে চাল অতি গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্রে রয়েছে, পুজোর উপকরণে কোনও ঘাটতি থাকলে চাল দিয়ে তা পূরণ হয়। কিন্তু কেমন ধরনের চাল নৈবেদ্যে গৃহীত হয়? শাস্ত্র মতে চালের ‘অক্ষত’ দানাই নৈবেদ্যে গ্রহণীয়। চালের ধর্ম পূর্ণতার সঙ্গে জড়িত। পুজোয় শুধুমাত্র গোটা চালই দেওয়ার বিধি রয়েছে। আর ‘অক্ষত’ ‘অখণ্ড’ দানা চালের কথা উঠলেই লালবাবা রাইসের বিশুদ্ধতা সর্বাগ্রে মনে পড়ে। দানায় দানায় লালবাবা বিশুদ্ধতায় এই পুজোকে আরও মহিমান্বিত করে তুলবে। এবারের পুজোয় আপনার উৎসবকে খুশি ও আনন্দে ভরিয়ে তুলুক লালাবাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.