সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে। নাগাদ ‘ডকিং’ প্রক্রিয়া’ সম্পূর্ণ ড্রাগন নাম্নী মহাকাশযানের। তারপরই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখলেন শুভাংশু শুক্লা। লখনউয়ে যে স্কুলে তিনি পড়তেন সেখানে ‘লাইভ’ দেখানো হল সেই দৃশ্য। যার সাক্ষী থাকলেন শুভাংশুর মা-বাবাও। অন্যদিকে স্পেস স্টেশন থেকে প্রথম পা রাখার পর ভারতীয় নভোচর জানালেন, তাঁর মাথাটা অদ্ভুত হালকা লাগছে। কিন্তু কোনও ধরনের শারীরিক প্রতিকূলতাই এই মুহূর্তে উত্তেজনার তুলনায় কিছুই নয়।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমার মাথাটা ঝিমঝিম করছে। কিন্তু আগামী ১৪ দিন যা যা আমাদের করতে হবে তার তুলনায় এটা কিছুই নয়। এ এক গর্ব ও উত্তেজনাময় মুহূর্ত। আমাদের মহাকাশযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
Group Captain Shubhanshu Shukla from international space station
— Dinesh Sarsaiya (@nationalist24x7)
পাশাপাশি তিনি বলেন, ”পৃথিবীকে একটা সুবিধাজনক স্থান থেকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ! মহাকাশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলাম, এই ক্রু সদস্যরা আমাকে এমন স্বাগত জানাল! তোমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য তোমাদের ঘরের দরজা খুলে দিলে। আমি আরও ভালো বোধ করছি। এখানে আসার আগে আমার যা প্রত্যাশা ছিল তা অবশ্যই ছাপিয়ে গেছে। তাই তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১৪ দিন বিজ্ঞান এবং গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ হবে। অনেক ধন্যবাদ।”
স্পেসএক্স-এর তৈরি ড্রাগন মহাকাশযানে চেপেই আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারী। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছনোর মুহূর্তে তৈরি হল অন্য ইতিহাস। আগামী ১৪ দিন তাঁরা মহাকাশে কেমন কাটান, সেদিকে চোখ থাকবে সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.