Advertisement
Advertisement
Royal Bengal Tiger

টাইগার ল্যান্ডস্কেপ জঙ্গলমহল! বঙ্গে বাঘ সংরক্ষণে একাধিক পরিকল্পনা বনদপ্তরের

ব্যাঘ্রকূলের পরিবেশ রক্ষায় পুরুলিয়ায় ৫০০ হেক্টর, ঝাড়গ্রামে ২০০ হেক্টর বনসৃজন হবে।

Forest department of West Bengal takes some initiative to make more comfortable environment for Royal Bengal Tigers
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 29, 2025 5:20 pm
  • Updated:July 29, 2025 5:25 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সুন্দরবন কিংবা বক্সাই শুধু নয়। পশ্চিমবঙ্গে বাঘের ডেরা হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহলও। ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা জঙ্গলমহলও এখন বাংলার আরেক টাইগার ল্যান্ডস্কেপ। তাই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের এই বিচরণক্ষেত্র যাতে বাঘের পাকাপাকি আবাসস্থল হয়, ওই বন্যপ্রাণ-মানুষের সংঘাত না বাঁধে, তাই সুসংহত পরিকল্পনা নিয়েছে অরণ্য ভবন। দীর্ঘমেয়াদী এই পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপও শুরু করেছে রাজ্য বনবিভাগ। একদিকে এই বাঘের করিডর সংক্ষরণ, সেইসঙ্গে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মোকাবিলায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে পরিকাঠামো। এছাড়া সংঘাত এড়িয়ে বাঘের সুরক্ষায় আলাদাভাবে নজরদারিও চলছে।

Advertisement

সামগ্রিকভাবে রাজ্যে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, “২০২১-এর বাঘ গণনা ২০২৩-এ প্রকাশিত হয়। সেই অনুযায়ী রাজ্যে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০২। এরপর আগামী বছর গণনা হবে।” শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে ১০১ ও বক্সাতে ১ টি বাঘ রয়েছে। তাদের সংরক্ষণে আরও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আসলে এই বিস্তীর্ণ করিডরে বাঘ যাতে নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারে, জঙ্গলে ক্যামোফ্লেজ করে সহজেই শিকারে সক্ষম হয়, তাই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ট্র্যাক ধরে পুরুলিয়ায় ৫০০ হেক্টর, ঝাড়গ্রামে ২০০ হেক্টর বনসৃজন হবে। এই কাজে অর্থ জোগাবে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই বনসৃজনে অর্জুন, গামার, জাম – এসব সাধারণ গাছের পাশাপাশি ঔষধি গাছও থাকবে। যাতে বাঘের রোগভোগে সেসব গাছপালা সহায়ক হয়। এছাড়া তাদের বিচরণে ঘাস জাতীয় ঝোপঝাড় আদর্শ। সেই কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের বনবিভাগ। অর্থাৎ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংসারে তাদের সুরক্ষায় ভূমিকা নেবে উদ্ভিদকূলও।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিজেদের বিচরণ ক্ষেত্রে চিহ্নিত গাছে আঁচড় কাটার মধ্যে দিয়েও যাতে ঔষধি গাছের সংস্পর্শে ব্যাঘ্রকূলের রোগ-অসুখ নিরাময় হয়। এছাড়া দক্ষিণরায়ের মোকাবিলায় পুরুলিয়া বনবিভাগে আসছে ১০০ ট্র্যাপ ক্যামেরা, ২০টি নাইটভিশন বাইনোকুলার, রাতের ছবি তুলতে থার্মাল ড্রোনের পাশাপাশি সাধারণ ড্রোন। যার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে অরণ্য ভবন। জঙ্গলে টহলের পাশাপাশি বনাঞ্চলের কোর এলাকায় বাঘ মানুষের সংঘাত এড়াতে সিসিটিভিতেও মনিটরিং চলবে। এজন্য ৪০ থেকে ৫০ টি উন্নত ক্যামেরা আসছে। যা অনেক দূরের ছবিও বন্দি করে নেবে। বনদপ্তরের এসব পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট, জাতীয় পশু বাংলার বাঘ সংরক্ষণে বেশ অগ্রণী রাজ্য সরকার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement