সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ দিন ধরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতির মুখে ওড়িশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল (Similipal) জাতীয় উদ্যান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ভয়াবহ আগুন। শনিবারও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা পরিবেশবিদদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। যদিও শুক্রবারই এক টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, সিমলিপাল উদ্যানে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় কোনও রকম প্রাণহানি ঘটেনি।
The fire at Similipal forests is now under control & no loss of life has been reported due to the incident.
AdvertisementThe Similipal forests are invaluable,not just for India but for the entire world. I appreciate the efforts of forest officials to contain the fire.
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar)
অন্যদিকে, কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, “বিগত ১০ দিন ধরে চলা এই অগ্নিকান্ডে কোন মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে প্রায় ৫,২৯১টি গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার মধ্যে বেশকিছু ঔষধি গাছও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
Among other causes, drastically rising temperatures have contributed to Odisha having the highest number of forest fires in the country for a week.
5,291 forest fires were recorded in the state btw Feb 22 & Mar 1, 2021.
— KISS – Kalinga Institute of Social Sciences (@kissfoundation)
সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের এই ঘটনায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Nabin Pattanayak) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনাও করেছেন।
CM reviewed the situation following the forest fire in Similipal National Park and asked officials to take preventive measures to control it. CM said Similipal is an invaluable treasure not for the country but for the entire world.
— CMO Odisha (@CMO_Odisha)
উল্লেখ্য, সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্রটি প্রায় ২ হাজার ৭৫০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে। হাতি ও বাঘ সংরক্ষণের জন্য এই উদ্যানটি বিখ্যাত। তাছাড়াও এটি এশিয়ার বৃহত্তম শালবন তথা ভারতের বৃহত্তম বায়োস্ফিয়ার উদ্যান (Biosphere Reserve)। এখানে প্রায় ৯৪ ধরনের অর্কিড, ৩০৪ ধরনের পাখি, ৬০টি প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬৪ ধরনের প্রজাপতি ও ৩৮ ধরনের মাছের সম্ভার রয়েছে। উদ্যানে কর্মরত আধিকারিক জানিয়েছেন, গরমের সময়ে গাছপালার ডাল শুকিয়ে যায়। ফলে আগুন প্রথমে অল্প জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকলেও তা পরবর্তী সময়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, ওড়িশার জশিপুরের পঞ্চায়েত প্রধান প্রশাসনিক ব্যার্থতা ও বন আধিকারিকদের উদাসীনতাকে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনার জন্য দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.