সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবজগৎ কী বিচিত্র! এ সম্পর্কে বিশদে পড়াশোনা, গবেষণায় প্রায় রোজ নতুন নতুন তথ্য উঠে আসে। আর সেসব যেন কল্পনার চেয়েও বিস্ময়কর। সম্প্রতি গভীর সমুদ্রের বাসিন্দা একপ্রকার মেরুদণ্ডী মৎস্যকুলকে নিয়ে বেশ চমকপ্রদ তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা। এক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সঙ্গমের সময় সঙ্গিনীকে আকর্ষণের জন্য পুরুষ মাছদের মাথা থেকে একটা বিশেষ দাঁত গজায়। যার সাহায্যে তারা নাকি স্ত্রী মাছকে নিজের কাছে ধরে রাখে! মেরুদণ্ডী প্রাণীদের জগতে এমন বৈশিষ্ট্য প্রথম বলেই দাবি বিজ্ঞানী মহলের।
আমেরিকার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় – ফ্লোরিডা, ওয়াশিংটন, শিকাগোর বিজ্ঞানীরা একযোগে গবেষণা চালিয়েছেন ‘ঘোস্ট শার্ক’ বা গভীর সমুদ্রে থাকা মেরুদণ্ডী মাছদের যৌন জীবন নিয়ে। আসলে এই গবেষণার উৎস লক্ষ কোটি বছর আগেকার কিছু জীবাশ্ম। এই প্রজাতির মাছেদের জীবাশ্ম পরীক্ষায় কোনও কোনও ঘোস্ট শার্কের মাথায় বিশেষ দাঁতের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাতেই বিজ্ঞানীদের কৌতূহল জাগে। শুরু হয় গবেষণা। পরে জিন পরীক্ষাতেও ওই দাঁত দেখা গিয়েছে। জানা যায়, সেই বিশেষ দাঁতের নাম ‘টেনাকুলাম’।
এহেন দাঁত ঠিক কীসের প্রতীক? ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. গ্যারেথ ফ্রেসার জানান, ”জীবাশ্ম আর জিন পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, ওদের চোয়ালের পাশাপাশি কপালের কাছ থেকেও একটা দাঁতের অস্তিত্ব আছে। এই টেনাকুলাম অর্থাৎ পুরুষ মাছের ওই বিশেষ দাঁত সঙ্গমকালে সঙ্গিনীকে ধরে রাখে।” শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাইকেল কোয়েটসের কথায়, ”ওদের বংশবৃদ্ধির জন্য ওদের ওই বিশেষ দাঁত একটা যন্ত্র হিসেবে কাজ করে।” আরেক বিজ্ঞানীর মতে, ”প্রথমে টেনাকুলামকে আমাদের অদ্ভূত বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু পরে সবটা জানতে পেরে এটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।” এসব দেখেশুনে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গভীর সমুদ্রের প্রাণীজগতে আরও অনেক রহস্যই লুকিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.