সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী দু’বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে। এমনটাই মনে করছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার প্রধান বিজ্ঞানী জিম গ্রিন। যদিও তাঁর শঙ্কা, দু’বছর পর সেই আবিষ্কারের জন্য তৈরি নাও থাকতে পারে পৃথিবী। ২০২০ সালে মঙ্গলগ্রহে জোড়া রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা এবং ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। সব ঠিক থাকলে ২০২১ সালের মার্চ মাসে তারা লালগ্রহের মাটিতে নামবে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই প্রতিবেশী গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী এই মহাকাশ বিজ্ঞানী।
ইএসএ-এর এক্সোমার্স মিশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোজালিন্ড ফ্র্যাংকলিন রোভার, যা ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ সন্ধান করবে। মঙ্গলগ্রহের মাটির নমুনা সংগ্রহের জন্য রোভারের সাহায্যে গভীর খননের পরিকল্পনাও রয়েছে এএসএ-এর। তবে শুধু মঙ্গল নয়। গ্রিন বলেন, ‘অন্য কোথাও সভ্যতার উন্মেষ ঘটেনি, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সাম্প্রতিককালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে ভিন্ন নক্ষত্রমণ্ডলীতে একের পর এক গ্রহ আবিষ্কৃত হচ্ছে। সেখানে প্রাণের সন্ধান মিললে আশ্চর্য হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
নাসার নিজস্ব ‘মার্স ২০২০’ অভিযানেও মঙ্গলের পাথুরে ভূস্তরে ড্রিল করে পৃথিবীতে নমুনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। নমুনা সংগ্রহের সুবিধায় অভিযানে ব্যবহার করা হবে মার্স হেলিকপ্টার। গ্রিনের দাবি, এই অভিযানেই খোঁজ পাওয়া যেতে পারে ভিনগ্রহের প্রাণীদের। বিজ্ঞানী মহলের ধারণা, মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলে মহাকাশ গবেষকদের কাছে বেশ কিছু নতুন গবেষণার বিষয় মিলবে।
গত কয়েক বছরের মহাকাশ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতীতে যে সমস্ত গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করা হয়েছিল, সেখানে কোনও সময় প্রাণের অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা ছিল। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ৩০ কোটি বছর আগে শুক্রগ্রহে ৩০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় থাকত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.