সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল গ্রহে জীবনযাপন ঠিক কেমন? স্বাস্থ্যের উপর কী বা কেমন প্রভাব পড়ে? গবেষণাধর্মী কাজকর্মই বা চালানো যায় কীভাবে? –মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালিয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে পৃথিবীর বুকেই এক টুকরো মঙ্গল বানিয়ে, চার জন নভশ্চরকে সেখানে থাকার জন্য প্রস্তুত করছে নাসা।
আগামী ১৯ অক্টোবর এই চার জন পৃথিবীর ‘মঙ্গল’ অর্থাৎ হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের অন্তর্গত নাসার মার্স ডিউন আলফা-র জগতে প্রবেশ করবেন। প্রায় ১,৭০০ বর্গফুটের সেই থ্রি-ডি প্রিন্টেড হ্যাবিট্যাটে চার নভশ্চর থাকবেন ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ৩৭৮ দিন। যে চার জন নভশ্চরকে এই অভিনব অভিযানের জন্য বাছাই করা হয়েছে, তাঁরা হলেন–রস এল্ডার, এলিন এলিস, ম্যাথু মন্টগোমারি এবং জেমস স্পাইসার। এঁদের অভিযানের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এঁরা। তবে আকস্মিক কোনও কারণে যদি কোনওভাবে একেবারে শেষ মুহূর্তে কারও যাত্রায় বাধা পড়ে, তাহলে তাঁর স্থান নেওয়ার জন্য বিকল্প হিসাবে তৈরি করে রাখা হচ্ছে আরও দু’জনকে। এঁরা হলেন এমিলি ফিলিপস এবং লরা ম্যারি।
নাসার তরফে খবর, এই ‘স্টিমুলেশন’ অভিযান তাদের ‘ক্রু হেলথ অ্যান্ড পারফরম্যান্স এক্সপ্লোরেশন অ্যানালগ’ (CHAPEA)-র অংশ। বাস্তবের মঙ্গল গ্রহে না গিয়েও সেখানে থাকার অভিজ্ঞতা পেতে নভশ্চরদের সাহায্য করবে এই মিশন। ৩৭৮ দিনের এই অভিযানে নভশ্চররা নানা ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন যেমন নিভৃতবাসে থাকা কেমন, যোগাযোগে দেরি হলে বা কোনও যন্ত্রাংশ (মহাকাশযানের) হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, বাঁচার জরুরি সামগ্রী ফুরিয়ে এলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, অত্যধিক তাপমাত্রায় কীভাবে স্পেসওয়াক করতে হবে প্রভৃতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.