Advertisement
Advertisement
Science

গাছ নয়, ঘর থেকে কার্বন শুষে নেবে এই নয়া উপাদান! হদিশ দিলেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন জৈব উপাদানকে কাজে লাগিয়ে এই পদ্ধতি বলে জানা যাচ্ছে।

New 'living' material that sucks Carbon di oxide from air developed by Swiss scientists
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 28, 2025 4:00 pm
  • Updated:June 28, 2025 4:05 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালোকসংশ্লেষ। এই পদ্ধতিতেই আজও পৃথিবী ফুরফুরে, সবুজে ভরা। প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার উপযুক্ত রয়েছে। সালোকসংশ্লেষ বললেই গাছের কথা মনে পড়া স্বাভাবিক। সবুজ পাতা সূর্যের আলো, মাটির জল আর বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে নিজের খাবার নিজেরা তৈরি করে। তাতে সুবিধা এই যে বায়ু থেকে প্রচুর বিষ অর্থাৎ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষিত হয় এবং তাতে প্রাণবায়ু অক্সিজেন পরিবেশে নির্গত হয়। এবার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ অর্থাৎ ‘ফটোসিন্থেটিক’ উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। যা আপনার ঘর থেকে সহজেই কার্বন শুষে নিতে সক্ষম, এমনই দাবি একদল সুইস বিজ্ঞানীর।

Advertisement

পরিবেশ দূষণ রুখতে কতজন কতই না উপায় হাতড়াচ্ছেন আজকাল। গবেষণাও চলছে জোরকদমে। আর তাতেই নতুন এক ফটোসিন্থেটিক উপাদান বেরিয়েছে বলে দাবি সুইস গবেষকদলের। বলা হচ্ছে, সায়নোব্যাকটেরিয়া যা কিনা পৃথিবীর অন্যতম আদি জীবের তালিকায়, তাকে কাজে লাগিয়েই এভাবে ঘর কিংবা বড় বড় ইমারতের কার্বন শোষণের উপায় বের করেছেন তাঁরা। নীলাভ-সবুজ একধরনের শৈবাল সালোকসংশ্লেষ করতে সক্ষম। বলা হচ্ছে, তেমন পরিবেশ পেলে এই সায়নোব্যাকটেরিয়া দূষণরোধে বড়সড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

গবেষক দলের অন্যতম বিজ্ঞানী ইফান কুইয়ের কথায়, ”সায়নোব্যাকটেরিয়া হল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এক জীব। সামান্য সূর্যালোক পেলেই তারা সালোকসংশ্লেষ করতে সক্ষম। তাতেই পরিবেশের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ এবং অক্সিজেন নিগর্মন হয় অনেকটা পরিমাণে।” ‘নেচার কমিউনিকেশন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সায়নোব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগিয়ে একধরনের হাইড্রোজেল (hydrogel) তৈরি হচ্ছে। পলিমারের সঙ্গে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ সেই জেল যদি কোনও বড় ভবনে রাখা হয়, তাহলে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তা কার্বন শুষে নেবে নিমেষে।

গবেষণার রিপোর্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ”প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটা ফটোসিন্থেটিক জৈব উপাদান তৈরি করা হয়েছে, যা বায়োমাসের মাধ্যমে কার্বন শুষে নিতে পারে। এছাড়া অজৈব পদার্থ থেকে কার্বোনেট শোষণ করে পরিবেশকে সুস্থ করতে পারে।” এই জৈব পদার্থটি ৪০০ দিন সময় পেলে যে কোনও স্থানে (অবশ্যই উপযুক্ত পরিবেশে) পরিপূর্ণভাবে পরিবেশ বান্ধব হয়ে উঠবে বলে গবেষণার ফলাফলে প্রকাশিত হয়েছে। ইটালির ভেনিস শহরের গবেষণায় উল্লেখ, দু থেকে তিনটি ছোট গাছের গুঁড়ি ধরনের উপাদান দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। যা প্রতি বছর ১৮ কিলোগ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিতে সক্ষম।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ