সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো শেষ হতে না হতেই শরতের আকাশে সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন মহাকাশপ্রেমীরা। অক্টোবরে আকাশজুড়ে আলো ছড়াবে বিশাল আকারের চাঁদ, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় – ‘হারভেস্ট মুন’। এমন ঘটনা মহাকাশ জগতের বিরল এবং বিশেষ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এবছর সেই বিশেষ ঘটনা ঘটবে। পৃথিবীর অনেকটা কাছে চলে আসবে একমাত্র উপগ্রহ। ফলে তাকে অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটা বড় এবং বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই চন্দ্রোদয়ের বিশেষ গুরুত্ব ছাড়াও ‘হারভেস্ট মুন’ নিয়ে আলাদা লোককথাও আছে। নামেই তার ইঙ্গিত লুকিয়ে। প্রচলিত বিশ্বাস, এই সময় থেকে ভালো ফলনের সময় শুরু হয়।
এবছর আগামী মাসেই আকাশে দেখা যাবে ‘হারভেস্ট মুন’। অক্টোবরের ৬ ও ৭ তারিখ গগনগাত্র উজ্জ্বল করে উদয় হবে বিশালাকার চাঁদ। ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবীর সাপেক্ষে তার অবস্থান এমন হবে যে মনে হবে, হাত বাড়ালেই যেন চাঁদ ছোঁয়া যাবে! আসলে এই বিশেষ সময়টাতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে চাঁদ। একে ‘সুপারমুন’ও বলা হয়। এই সময় অন্তত ৬ শতাংশ বড় হয়ে দেখা দেয় চাঁদ, আর তার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ১৩ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৬ অক্টোবর থেকে ধীরে ধীর পৃথিবীর নিকটবর্তী হতে থাকবে। ৭ অক্টোবর সূর্যাস্তের পরই আকাশে স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে দেবে চাঁদ। তার রংও হবে খানিকটা পৃথক। উল্লেখ্য, তার ঠিক আগে, ৫ অক্টোবর পঞ্জিকামতে পূর্ণিমা। এই তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে বাংলার ঘরে ঘরে। আর তারপরই এই ‘সুপারমুন’ বা ‘হারভেস্ট মুন’ দেখা যাবে।
কোথা থেকে দেখতে পাবেন এই মহাজাগতিক বিরল ঘটনা? জানা যাচ্ছে, আকাশ পরিষ্কার ও বৃষ্টি না হলে উত্তর গোলার্ধ্ব থেকে সবচেয়ে ভালো দৃশ্যমান হবে ‘হারভেস্ট মুন’। আর ভারত থেকে? হ্যাঁ, ভারত থেকেও ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা নামলে খালি চোখে দেখা যাবে থালার মতো চাঁদ। যেখানে বায়ুদূষণ কম, তেমন জায়গা থেকে খুব ভালো দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পারবেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত ২০২০ সালে এই বিশেষ চাঁদ দেখা গিয়েছিল। অঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, ফের ২০২৮ সালে তা উদয় হবে। সুতরাং, এবছরের ‘হারভেস্ট মুন’ না দেখলে আবার তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.