সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের ভয়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রায় বর্জনীয় হতে চলেছে। বিশেষত প্লাস্টিকের বোতল, কাপের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আর কেউ সেভাবে ব্যবহার করছেন না। বদলে কাচ কিংবা অন্য পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রের প্রাধান্য। কিন্তু তাও কি নিরাপদ? মোটেই নয়। ফরাসি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষার সাম্প্রতিকতম ফলাফলে চমকপ্রদ তথ্যই জানাচ্ছেন। তাতে বলা হচ্ছে, প্লাস্টিক বোতলের চেয়েও নাকি কাচে মাইক্রোপ্লাস্টিক অর্থাৎ দূষণের উপাদান রয়েছে অধিক মাত্রায়! যা জানতে পেরে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই অবাক হয়েছেন।
ফ্রান্সের খাদ্য সুরক্ষা সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল বিভিন্ন বাসনপত্রের উপাদান নিয়ে। তাতে দেখা গিয়েছে, কাচের বোতল যাতে সাধারণত ঠান্ডা পানীয়, আইস টি, বিয়ার থাকে, তাতে প্রায় ১০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে। যা প্লাস্টিক বা অন্য কোনও ধাতব বোতলের প্রায় ৫০ গুণ। অবিশ্বাস্য তথ্য বটে! কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল তো এত ভুল হবে না। বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অফ ফুড কম্পোজিশন অ্যান্ড অ্যানালিসিস’-এ। সেখান স্পষ্ট সিদ্ধান্ত টানা হয়েছেন, মোটেই প্লাস্টিকের চেয়ে কাচের বোতল সুরক্ষিত নয়। গবেষণার মূল কাণ্ডারি ইসলাইনব চাইবের কথায়, ”আমরা যা ভেবেছিলাম, ঠিক তার উলটো ফলাফল এসেছে। কাচের বোতল থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেল, প্লাস্টিকের মতো একই আকার ও রংয়ের পলিমার কম্পোজিশন বেরিয়েছে।”
গবেষণার তথ্য-পরিসংখ্যান খুঁটিয়ে দেখে জানা যাচ্ছে, বিয়ারের বোতলে সবচেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা থাকে, প্রতি লিটারে অন্তত ৬০টি। সোডা বা লেমোনেডের বোতলে থাকে লিটার প্রতি ৪০টি কণা। সাড়ে ৪ লিটারের জলের কাচ ও প্লাস্টিকের বোতলে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার অনুপাত ৪.৫:১.৬। অর্থাৎ এখানেই স্পষ্ট, প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে কাচের বোতলে দূষণ সৃষ্টিকারী কণার পরিমাণ বেশি। তবে এমন ‘উলটপুরাণ’ অর্থাৎ উলটো ফলাফলের কারণ এখনও অজানা বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। কারণ যাই হোক, কোনও খাদ্য বা পানীয় কোন ধরনের পাত্রে রয়েছে, তা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। তার উপর নির্ভর করছে দূষণ মাত্রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.