Advertisement
Advertisement
Alipore Zoo

আলিপুর চিড়িয়াখানায় গাছেরও আধার কার্ড! ব্যাপারটা কী?

সমীক্ষায় কিছু গাছের নাম-গোত্রও সংশোধন করা হয়েছে।

Tree survey started in Alipore Zoo
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 11, 2025 2:05 pm
  • Updated:August 11, 2025 2:05 pm   

নিরুফা খাতুন: নাগরিকদের মতোই আলিপুর চিড়িয়াখানার গাছের আধার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। এই আধার কার্ডে গাছের নাম, ঠিকানা, পরিবার সবই উল্লেখ থাকবে। ইতিমধ্যে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে গাছের সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে আলিপুর কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষায় কিছু গাছের নাম-গোত্রও সংশোধন করা হয়েছে। আবার কিছু নতুন গাছও পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর গাছের নতুন করে পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

আলিপুর চিড়িয়াখানায় গাছের সংখ্যা একশোর উপর। যার মধ্যে বেশ কিছু গাছ দুষ্প্রাপ্য। আগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সমীক্ষা করে গাছের নাম-গোত্র চিহ্নিত করেছিল। এই প্রথম বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হল। সমীক্ষায় মোট ১০২টি গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন সংযুক্ত হয়েছে সাতটির মতো গাছ। কিছু গাছের বৈজ্ঞানিক নাম সংশোধন করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। যেমন দেবদারু। আগে এর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পলিয়ালথিয়া লংফিফোলিয়া। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার করা সমীক্ষায় দেবদারুর বৈজ্ঞানিক নাম সংশোধন করে হয়েছে মোনুন লংফিফোলিয়া। অশোক গাছ এক সময় প্রচুর দেখা যেত। এই গাছের ছাল, পাতা ও ফুল আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই গাছকে দুষ্প্রাপ্য তালিকায় রাখা হয়েছে।

পূর্বের সমীক্ষায় আলিপুরে অশোক গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ছিল সারাকা ইন্ডিকা। সংশোধনের পর বৈজ্ঞানিক নাম হয়েছে সারাসা অশোকা। কদম গাছেরও বৈজ্ঞানিক নাম পরিবর্তন হয়েছে। আবার সেগুনের গোত্র পরিবর্তন হয়েছে। আগে এখানে সেগুনগাছ ছিল লামিয়াসি পরিবারের। সংশোধনের পর তা ভরবেনাসি পরিবারের। টিউলিপ ম্যানগ্রোভেরও পরিবার বদল হয়েছে। এতদিন সে ছিল মালভেসি পরিবারের। এখন তার পরিবার স্টার্কিউলিয়েসি। কৃষ্ণ বটগাছ, সুন্দরী, কাঁকড়া ম্যানগ্রোভের মতো গাছ নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

আলিপুর চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অরুণ মুখোপাধ্যায় জানান, চিড়িয়াখানার বায়োলজিস্ট ১ সাম্য বসুর উদ্যোগে এই সমীক্ষা করা হয়। তিনিই বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে গাছের সমীক্ষা করিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিএসআই এই সমীক্ষা করে দিয়েছে। কিছু নতুন গাছ পাওয়া গিয়েছে সমীক্ষায়। আবার কিছু গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিবার সংশোধন করা হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্টের পরই গাছের পরিচয়পত্র তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। নেমপ্লেটে গাছের পরিচিত নাম, বৈজ্ঞানিক নাম ও কোন প্রজাতির উদ্ভিদ সবই উল্লেখ থাকবে। গাছের পর চিড়িয়াখানায় আগাছাগুলিও বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে সমীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ