Advertisement
Advertisement
Moon

যদি চাঁদে লেখো নাম… নাসার চন্দ্রযানের শরিক হতে পারেন আপনিও, ঘরে বসেই!

জেনে নিন নিজের নাম চাঁদে পাঠানোর সহজ উপায়।

You can send your name to Moon

প্রতীকী ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 10, 2025 4:33 pm
  • Updated:September 10, 2025 4:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে চাঁদ পেতে কে না চায়। কিন্তু চাইলেই তো হল না। কে আর দিচ্ছে! কিন্তু নাসা এবার আপনাকে সুযোগ দিচ্ছে… না, চাঁদ হাতে পাওয়ার নয়, বরং চাঁদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার। তবে সশরীরে নয়। আপনার নাম থাকবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চন্দ্রযান আর্টেমিস ২-তে!

Advertisement

বলে রাখা ভালো, ২০২৬ সালের শুরুর দিকেই চাঁদে যাবে ওই মহাকাশযান। যে যানে থাকবেন চারজন মহাকাশচারীও। তবে তাঁরা চাঁদে নামবেন না। থাকবেন যানের ভিতরেই। আর যানটিও উড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে। তারপর সেই যানেই তাঁরা ফিরবেন পৃথিবীতে। এই অভিযানের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ইসরোর। এই মিশনই আর্টেমিস ৩ মিশনের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা মহাকাশচারীদের। এখানেই শেষ নয়। ওই মিশনেরই দূরবর্তী লক্ষ্য মঙ্গলে অভিযান করা। সুতরাং প্রাথমিক ভাবে ওই মিশনের সফলতা আগামিদিনে বহু মাইলফলকের নির্মাণের প্রেক্ষাপটই তৈরি করবে। এই ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযানের শরিক হতে পারবেন আপনিও।

কীভাবে শরিক হবেন

এর জন্য ক্লিক করতে হবে http://www3.nasa.gov/send-your-name-with-artemis/ লিঙ্কে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। নাম ও পিন কোড লিখে সাবমিট করলে সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে যাবেন ডিজিটাল সার্টিফিকেট। আর এই নামও সংরক্ষিত হয়ে গেল নাসার ডেটা বেসে। যখন ওই যান চাঁদের উদ্দেশে উড়বে, তাতে থাকবে আপনার নামও। কেননা ওরিয়ন নামের রকেটটিতে থাকবে একটি এসডি কার্ড। আর তাতেই থাকবে জমা পড়া সমস্ত নামও।

চাঁদের পর মঙ্গল?

কেবল চাঁদ নয়, মহাকাশের ‘লাল লণ্ঠন’ মঙ্গলগ্রহেও নামার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এবং সেটাও যত দ্রুত সম্ভব। এৎ প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালিয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে পৃথিবীর বুকেই এক টুকরো মঙ্গল বানিয়ে, চার জন নভশ্চরকে সেখানে থাকার জন‌্য প্রস্তুত করছে নাসা। পৃথিবীর বুকেই তৈরি করা হয়েছে একটুকরো ‘মঙ্গল’! আগামী ১৯ অক্টোবর এই চার জন পৃথিবীর ‘মঙ্গল’ অর্থাৎ হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের অন্তর্গত নাসার মার্স ডিউন আলফা-র জগতে প্রবেশ করবেন। প্রায় ১,৭০০ বর্গফুটের সেই থ্রি-ডি প্রিন্টেড হ‌্যাবিট‌্যাটে চার নভশ্চর থাকবেন ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ৩৭৮ দিন। এই অভিযানে নভশ্চররা নানা ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। যেমন নিভৃতবাসে থাকা, যোগাযোগে দেরি হলে বা কোনও যন্ত্রাংশ (মহাকাশযানের) হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, বাঁচার জরুরি সামগ্রী ফুরিয়ে এলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, অত‌্যধিক তাপমাত্রায় কীভাবে স্পেসওয়াক করতে হবে প্রভৃতি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement