ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন অমিত মিশ্র। সোশাল মিডিয়ার একটি পোস্টে ৪২ বছর বয়সি ক্রিকেটার সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে, পাঁচ বছর দলের বাইরে থাকার হতাশার কথা গোপন করেননি তিনি।
অমিত মিশ্র লিখেছেন, “আজ ক্রিকেট থেকে ২৫ বছর পর অবসরের কথা ঘোষণা করছি। ক্রিকেটই আমার প্রথম প্রেম। এই খেলাটিই আমার প্রথম শিক্ষক। আনন্দের সবচেয়ে বড় উপাদান। ক্রিকেটের এই যাত্রাপথ আমার কাছে অত্যন্ত স্মরণীয়। আমি বিসিসিআই, হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, সতীর্থ এবং সবার আগে সমর্থকদের এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সমর্থকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে শক্তি জুগিয়েছে।”
Today, after 25 years, I announce my retirement from cricket — a game that has been my first love, my teacher, and my greatest source of joy.
This journey has been filled with countless emotions — moments of pride, hardship, learning, and love. I am deeply grateful to the BCCI,…
— Amit Mishra (@MishiAmit)
২০০৩ সালে টিভিএস কাপে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে’তে অভিষেক হয় অমিত মিশ্রর। প্রথম ম্যাচে তিনি পাঁচ ওভার বল করে পেয়েছিলেন নীল ম্যাকেঞ্জির উইকেট। অভিষেকের পর পাঁচ বছর ভারতীয় দলে সুযোগ মেলেনি তাঁর। তখন অনিল কুম্বলে এবং হরভজন সিং ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার স্পিনিং বিভাগের প্রধান অস্ত্র। দুই কিংবদন্তি স্পিনারকে টপকে জায়গা হয়নি অমিত মিশ্র।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অমিত মিশ্র বলেন, “আমার অভিষেকের পর পাঁচ বছর জাতীয় দলে জায়গা পাইনি। যদি তা না হত, তাহলে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারতাম। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচে আমার অভিষেক হয়েছিল। এরপর ৫ বছরের দীর্ঘ ব্যবধান ছিল। পাঁচ বছর আমি ভারতীয় দলে ফিরতে পারিনি। আমি পারফর্ম করছিলাম। দলের ফেরার জন্য পরিশ্রমও করছিলাম। কিন্তু কিছুতেই দলে জায়গা পাচ্ছিলাম না বলে হতাশ ছিলাম। যদি তিন-চার বছর আগে প্রত্যাবর্তন করতাম, তাহলে আরও অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে পারতাম।”
উল্লেখ্য, অমিত মিশ্র হরিয়ানার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। কুম্বলে চোট পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটে অমিত মিশ্রের। টেস্টে স্মরণীয় অভিষেক হয় তাঁর। ২০০৮ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ষষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি ১০৩ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতও ওই ম্যাচ জেতে। টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন তিনি। ২২টি টেস্ট, ৩৬টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৭৬, ৬৪ এবং ১৬টি। তাছাড়াও আইপিএলের ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনিই। ১৬২টি আইপিএল ম্যাচে নিয়েছেন ১৭৪টি উইকেট। আইপিএলের ইতিহাসে তিনবার হ্যাটট্রিকের বিরল নজিরও রয়েছে অমিত মিশ্রের নামে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.