স্টাফ রিপোর্টার : সুপার ফোরে ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেটীয় যুদ্ধ আরও বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে। মাঠে পাক ক্রিকেটারদের পাল্টা দিয়েছেন অভিষেক শর্মা, শুভমান গিলরা। ম্যাচের পরের দিন ভারতের দুই ক্রিকেটারই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটটা মুখে নয়, মাঠে নেমে খেলতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বনাম পাকিস্তানের পর যে এশীয় ক্রিকেট লড়াই সবচেয়ে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে, সেটা হল ভারত বনাম পাকিস্তান। গত এক দশক ধরে সেটা একইরকম চলে আসছে। বৈরিতা আরও বাড়ছে। সোশাল মিডিয়ায় দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সেই কবে চোদ্দো বছর আগে বীরেন্দ্র শেহবাগের এক মন্তব্য স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছিল, তা এখন উত্তেজনার অগ্নি গোলকে পরিণত হয়েছে। তা মঞ্চ নিরীহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হোক কিংবা মাল্টিনেশন টুর্নামেন্ট। দু’দেশের ক্রিকেটীয় যুদ্ধ এখন আর শুধু মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সমান্তরাল একটা যুদ্ধ মাঠের বাইরেও চলতে থাকে।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারত ম্যাচের আগে পদ্মাপারের থেকে বিষাক্ত কিছু পোস্ট উড়ে আসে। যা বেপোয়ারা কিছু স্ফুলিঙ্গের জন্ম দিয়ে যায়। অথচ ক্রিকেটীয় উৎকর্ষতায় ভারতের ধারেকাছে আসবে না বাংলাদেশ। সেদেশের ক্রিকেটমহলে আলোচনা চলছে। বলাবলি হচ্ছে, আইপিএল আসার পর ভারতীয় ক্রিকেট এতটাই শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে যে যশস্বী জয়সওয়ালের মতো ক্রিকেটার প্রথম এগারোয় সুযোগ পাচ্ছেন না। এটাও বলা হচ্ছে, ভারত যদি নিজেদের তৃতীয় টিমও নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে আসে, তা-ও বিপক্ষকে হারিয়ে দেবে।
খুব একটা ভুল বলা হচ্ছে না। শক্তির বিচারে বাংলাদেশের থেকে বহুগুণ এগিয়ে ভারত। এমনিতেই পাকিস্তান ম্যাচের পর ভারতীয় অধিনায়ক বলে যান তিনি ভারত-পাক ক্রিকেটীয় যুদ্ধকে এখন আর ‘রাইভ্যালরি’ হিসাবে দেখছেন না। কারণ, সম লড়াইটা দুটো সমমানের টিমের মধ্যে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য। যতই বাংলাদেশি সমর্থকরা হুংকার দিন না কেন, বাস্তবে ব্যাপারটা পুরো উল্টো। দু-একটা খুচরো ম্যাচ ছাড়া বাংলাদেশ কখনওই হারাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়াকে।
যদিও সূর্যরা এসব মাথাতেই রাখতে চাইছেন না। যতই হোক, খেলাটার নাম ক্রিকেট। আর টি-টোয়েন্টি এমনই একটা ফরম্যাট, যেখানে যে কোনও দিন যা কিছু ঘটতে পারে। এক-আধ ওভার ম্যাচের রং বদলে দিয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সূর্যরা চাইছেন বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলতে। লিগ টেবিলের যা অবস্থা, তাতে বুধবার সূর্যরা জিততে পারলে ফাইনালে নিশ্চিত হয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। ভারতীয় শিবিরের যা খবর, তাতে দলে কোনও বদল আসছে না। পাকিস্তান ম্যাচে যে টিম খেলেছিল সেটাই থাকবে। আগের ম্যাচে জশপ্রীত বুমরাহকে পরিচিত ছন্দে দেখা যায়নি। তবে এটা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট একেবারেই চিন্তিত নয়। সূর্য বলে দিয়েছেন, বুমরাহ রোবট নয়। যে কোনও ক্রিকেটারেরই একটা খারাপ দিন যেতেই পারে।
দুবাইয়ে যেরকম গরম, তাতে স্পিনারদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারতীয় স্পিনাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে কুলদীপ যাদব। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, কুলদীপ এই টিমের এক্স ফ্যাক্টর। ভারতীয় তারকা স্পিনার সেটা প্রত্যেকদিন প্রমাণ করছেন। বুমরাহ তো বটেই, একই সঙ্গে কুলদীপদের সামলানোর কাজটা বাংলাদেশের কাছে যে চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। এর সঙ্গে আবার অভিষেক শর্মা, শুভমান গিলদের ব্যাটিং বিস্ফোরণ।
বড় কোনও অঘটন না হলে ভারত বুধবারই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.