সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপ ‘বয়কট’ নিয়ে অনেক গর্জন করেছে পাকিস্তান। কিন্তু হুঙ্কারই সার! ম্যাচ বয়কটের রাস্তায় না হাঁটলেও বড় পদক্ষেপের পদে হাঁটলেন সলমন আলি আঘারা। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ পাকিস্তানের। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনকে ‘বয়কট’ করল পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের টেবিলের দিকে তাকালে একেবারেই স্বস্তি পাবেন না পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তরা। ২ ম্যাচ খেলে শাহিন শাহ আফ্রিদিদের পয়েন্ট ২। একই পরিস্থিতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর। তবে নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে তারা। যদি পাকিস্তান আচমকা বয়কটের রাস্তায় হাঁটে, তাহলে পরের রাউন্ডে যাবে আমিরশাহী। তাই মুখে যাই বলুক না কেন, ম্যাচ ‘বয়কটের’ ঝুঁকি নেবে না পাক বাহিনী।
তবে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন না কোনও পাক প্লেয়ার। সম্ভবত এটাই তাঁদের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’। অর্থাৎ ম্যাচের বদলে সাংবাদিক সম্মেলন ‘বয়কট’। যদিও বলা হচ্ছে, অনুশীলনের জন্য পাকিস্তানের কোনও সাংবাদিক সম্মেলনে আসতে পারেননি। সব মিলিয়ে গর্জালেও একেবারেই বর্ষাল না পাকিস্তান। অবশ্য ম্যাচে না নামলে আর্থিক সমস্যার মুখেও পড়তে হবে তাদের। জানা যাচ্ছে, ১২ থেকে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লভ্যাংশ হাতছাড়া হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪০ কোটি টাকা।
সেসব তো আছেই। তবে ‘বয়কটের’ সিদ্ধান্ত থেকে পাল্টি খাওয়ার নেপথ্যে আইসিসি’কে নিয়ে ভয়ও আছে। পাক বোর্ডের এক সূত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “এশিয়া কাপ থেকে পিসিবি সরে যাওয়ার সম্ভাবনাই নেই। যদি আমরা সরে যাই, তাহলে জয় শাহের আইসিসি আমাদের উপর নির্বাসনের খাঁড়া নামিয়ে আনবে। যেটা পিসিবি একেবারেই চায় না। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় স্টেডিয়াম সংস্কারে যা খরচ হয়েছে, তাতে আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।”
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ছিল পিসিবি। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘাকে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত না মেলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।’ এমনকী আইসিসি’র কাছে অভিযোগও জানায়। কিন্তু পাক দলের দাবি থাকলেও পাইক্রফটকে সরায়নি আইসিসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.